24 C
আবহাওয়া
৩:১০ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল ইরান

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যু

পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে এখন সমগ্র ইরান প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল।

হিজাব না পরে রাস্তায় বেরোনোর ‘শাস্তি’ হিসাবে মাহসা নামে তরুণীকে আটক করে পুলিশ। ১৩ সেপ্টেম্বর গাড়িতে চেপে সপরিবারে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন মাহসা আমিনি।

পথিমধ্যে তাদের গাড়ি আটকায় ইরানের পুলিশ। গাড়িতে মাহসা হিজাব পরেননি বলে পরিবারের সামনেই মাহসাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় পুলিশি হেফাজতে থাকা ওই তরুণীর। তার পর থেকে ইরানের চারদিকে নারী পুরুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

গত কয়েকদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ এ। বিক্ষোভকারীদের হামলায় মারা গেছেন ৫ নিরাপত্তারক্ষীও। পুড়েছে অসংখ্য সরকারি গাড়ি। তবে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে শুক্রবার দাবি করা হয়েছে— এখনো পর্যন্ত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

‘ইরান হিউম্যান রাইটস্’-বলেছে, অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০ শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।

ইতোমধ্যে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের জ্বলন্ত ছবি। গত আট দিন ধরে সন্ধ্যা নামার পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।

দেশটির তথাকথিত নৈতিকতা পুলিশ কর্তৃক আটকের পর এক তরুণী মারা যাওয়ার পর এক সপ্তাহের বিক্ষোভ ইরানে কেঁপে উঠেছে।

২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে পরিবারের সাথে তেহরানে ভ্রমণ করেছিলেন যখন ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে পুলিশ “অশালীন পোশাক” পরিধান করেছে বলে মনে করে তাকে আটক করা হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে একটি “গাইডেন্স সেন্টার”-এ থাকার সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল – এক ধরনের পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র যেখানে মহিলাদের নারীদের পোশাক সম্পর্কে ইরানের নিয়মগুলি কীভাবে অনুসরণ করতে হয় তা শেখানো হয়।

তার মৃত্যুর পর, ১৬ সেপ্টেম্বর, ইরানীরা সারা দেশে রাস্তায় নেমে আসে, আমিনির জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানায়, কর্তৃপক্ষ এবং নৈতিকতা পুলিশের উপর ক্ষুব্ধ, যারা তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে।

ইরানি কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে কিছু মহিলা প্রকাশ্যে তাদের চুল কেটেছে এবং তাদের মাথার স্কার্ফ পুড়িয়ে দিয়েছে।নিরাপত্তা বাহিনী এবং সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের সাথে সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ