26 C
আবহাওয়া
৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » করোনার লক্ষণ কি কি

করোনার লক্ষণ কি কি


করোনাভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট(সংক্রমিত হয়ে) রোগের নাম কোভিড-১৯। এই মূলত মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত জ্বরের সঙ্গে শুকনা কাশি,গলা ব্যাথা দিয়ে শুরু হয়। জ্বর ও কাশির এক সপ্তাহের মাথায় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়।স্বাদ এবং ঘ্রাণশক্তির পরিবর্তন ঘটে।রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে গড়ে পাঁচ দিন সময় নেয়।মূলত এসব কিছুই করোনার লক্ষণ।

৫৬ হাজার আক্রান্ত রোগীর উপর চালানো এক জরিপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়:

  • এই রোগে ৬% কঠিনভাবে অসুস্থ হয় – তাদের ফুসফুস বিকল হওয়া, সেপটিক শক, অঙ্গ বৈকল্য এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা তৈরি হয়।
  • ১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা যায়। তাদের মূলতঃ শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়।
  • ৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায় – জ্বর এবং কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে (অ্যাজমা, ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ) তাদের মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যেহেতু ভাইরাসটি ফুসফুস ও শ্বাসকষ্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সে হিসেবে বর্তমানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এ–সংক্রান্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করে রাখা হয়। শ্বাসকষ্ট কমাতে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকেরা নিজেদের মতো করে ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ প্রয়োগ করে থাকেন।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট লক্ষণ

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর তিনটি নতুন লক্ষণ হলো-

১. ঠাণ্ডা সর্দি
২. মাথা ব্যাথা এবং
৩. গলা ব্যাথা বা সোর থ্রোট

 ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’-এ আক্রান্তের লক্ষণ

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মিউকোরমাইকোসিস বলা হয়।এটি চোখে সংক্রমণ ঘটালে আক্রান্তের নাক বন্ধ হয়ে যায়, নাকে ঘা হয়ে রক্তক্ষরণ হয়, রোগী চোখে ঝাপসা দেখে অর্থাৎ দৃষ্টি শক্তি কমে আসে, চোখের ভেতর থেকে রক্তক্ষরণ হয়, চোখ জ্বালা পোড়া করে, কারো কারো মুখের একদিকে ফুলে যায়, নাক অথবা দাঁতের মাড়ি কালো হয়ে যায়, এক পর্যায়ে কফের সঙ্গে রক্ত যায়, রক্ত বমি হয়, মাথা ব্যথা, দাঁতে ব্যথা ও ঘাড়ে ব্যথা শুরু হয়। ত্বকে কালো দাগ দেখা দেয়।এছাড়া নতুন করে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটে। ফুসফুসের অক্সিজেন ধরে রাখার সক্ষমতা কমে যায় রোগীর। ফলে শ্বাসকষ্ট বাড়ে।

সব করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই রোগ হয় না। শুধু মাত্র যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় আছে, দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে আছে তাদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা গেছে।ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি ছত্রাক তবে ছোঁয়াচে নয়।

কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(হু) মতে, কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ফেলতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরপরই হাত ধুয়ে ফেলতে হবে, পারতপক্ষে নাক, মুখ ও চোখে হাতের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, এতে এ ধরনের ভাইরাস হাত থেকে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। হাঁচি-কাশি বা জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

এই রোগ থেকে এখন পর্যন্ত রক্ষার একমাত্র উপায় হলো অন্যদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে না দেয়া।

যার মানে হলো:

মানুষজনের চলাচল সীমিত করে দেয়া।

হাত ধুতে সবাইকে উৎসাহিত করা।

 মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করা।

স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে রোগীদের আলাদা আলাদা করে চিকিৎসা সেবা দেয়া

রোগীদের ভাইরাস রয়েছে কিনা তা জানতে এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করার জন্যও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড বা নজরদারি ব্যবস্থার প্রয়োজন।

প্রথম দিকে সংশয় প্রকাশ করা হলেও পরের দিকে মাস্ক ব্যবহারকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর অন্যতম কার্যকর উপায় বলে একমত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ উন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থাগুলো। সূত্র: বিবিসি,প্রথমআলো খবর।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ