বিএনএ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকার পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে, এটাই নিয়ম। এর বাইরে আমরা ১ চুলও নড়বো না, বিএনপিকে এটা মেনেই নির্বাচনে আসতে হবে। কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে। বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বরিবার (২২ মে) রাজধানীতে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে না। হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর, বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার চেয়ে সাহসী নেতার জন্ম হয়নি। পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় নেতা বাংলাদেশে আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। সারা বিশ্বে পরিশ্রমী ৩-৪ জনের একজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগুন সন্ত্রাসের হোতা বিএনপি, এদেশের মানুষ তা ভুলে যায়নি। কত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা এখন বড় বড় কথা বলে। তারা শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলে। এটা কি জনগণের দাবি? বিএনপি’র দাবিতে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন কেন? পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পদত্যাগ করবেন? বাংলাদেশের মতো আরেক বাংলাদেশ সুনীল সমুদ্রে যিনি বিজয় করেছেন তিনি কি পদত্যাগ করবেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি নেতাদের টপ টু বটম পদত্যাগ করা উচিত। শেখ হাসিনার সফলতা আছে, তারা ব্যর্থ। ব্যর্থরা পদত্যাগ করবে। বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী তিনি বাংলার জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতায় আছেন। জনপ্রিয়তা যাচাই করেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শতকরা ৯০ ভাগ জনগণ তার পক্ষে রায় দেবে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
বলেন, সময় এলে বিএনপি যাবেন এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি যদি হেরে যাই, আমি চলে যাব। আপনারা নির্বাচনে এসে জিতুন, কে নিষেধ করেছে?
মৎসজীবী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, মৎসজীবী লীগের কাজ ঢাকা শহরে না। আপনাদের কাজ গ্রাম-বাংলায়, সারা বাংলায়। ঢাকায় বসে বসে নেতাগিরি করলে হবে না। বলেন কমিটি নিয়ে অভিযোগ এসেছে, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
বিএনএ/এ আর
