29 C
আবহাওয়া
১:৫৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » তানভীর – মোয়াজ্জেম – ফারাবীর বিদায়! অন্যরা যাবে কবে?

তানভীর – মোয়াজ্জেম – ফারাবীর বিদায়! অন্যরা যাবে কবে?


বিএনএ, ডেস্ক : গত বছরের জুলাই পরবর্তীতে পুলিশ- আমলা বদলি এবং টেন্ডারের কমিশন বানিজ্যতে জড়িয়ে পড়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে থাকা অনেক সমন্বয়ক। তাদের ঘিরে গড়ে ওঠে দেশ ব্যাপি বিশাল সিন্ডিকেট। টিউশনি করে লেখাপড়া ও হলের খাবারের খরচ চালাতে না পেরে আত্মহত্যা করতে যাওয়া সমন্বয়করা কোটি কোটি টাকার মালিক। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে। জীবনযাপন করেন আয়েশি।

YouTube player

সমন্বয়কদের ওপেন-সিক্রেট দূর্নীতির বিষয়টি সামনে আনেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। গত ১০ মার্চ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন, ‘ডিসি নিয়োগের তালিকা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে যে ছাত্র সমন্বয়কের নাম এসেছিলো, তিনি গাজী সালাউদ্দীন তানভীর ওরফে তানভীর আহমেদের। এনসিটিবি বিতর্কে তার নাম নতুন করে আলোচনায় এসেছে। চলতি বছরে এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপার কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মেলেনি। এভাবে শুধু কাগজ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বেশি কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ এই গাজি সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে ।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান আরও লিখেছেন, ‘আমি তথ্য পেলাম, নতুন গঠিত রাজনৈতিক দলেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দলে পদ পেয়েছেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের বলবো, গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে নিয়ে আপনারা বিস্তর অনুসন্ধান করেন, অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে। একজন অপরিচিত মানুষ কেন এতো প্রভাবশালী, আপনাদের কি জানতে ইচ্ছে করেনা?’

সংবাদকর্মীরা শুধু গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে ক্ষান্ত হয়নি জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষ অনেক নেতা ও উপদেষ্টাদের দূর্নীতি অনিয়মের অনুসন্ধান করে সংবাদ প্রকাশ করলেও সংশ্লিষ্টরা পরবর্তীতে তা অস্বীকার করেছে। ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা দিয়ে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানকে বার বার থামিয়ে দিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করার নজির ভুরিভুরি।

এবার জাতীয় নাগরিক পার্টি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলে থাকা নেতাদের দূর্নীতি অনিয়ম তদন্ত করার জন্য একটি শক্তিশালী ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন করেছে। এই কমিটি গঠনের দুই দিনের মাথায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

২১ শে এপ্রিল সোমবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সাময়িক অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিটি এনসিপির ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত ১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন–বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে।

চিঠিতে সালাউদ্দিন তানভীরকে এনসিপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়,তানভীরকে কেন দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর জন্য দলের আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন নির্দেশ দিয়েছেন।

সাংগঠনিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আগের মৌখিক সতর্কতা অমান্যের পরিপ্রেক্ষিতে সালাউদ্দিন তানভীরকে দলের সব দায়িত্ব ও কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। শৃঙ্খলা কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগপর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করে, এনসিপি’র বিলাসী জীবন যাপনকারি কয়েকজন নেতার দূর্নীতির ফাইল দিন দিন মোটা হচ্ছে। তাদের দূর্নীতি রক্ষা করতে এনসিপির যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক সালাউদ্দিন তানভীরকে কবর দেয়া হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

বিএনএ

Loading


শিরোনাম বিএনএ