40 C
আবহাওয়া
৫:৫৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আ.লীগের জামানত হারানো ইউনিয়নে এমপি পেতেন ১৫০ ভোট!

আ.লীগের জামানত হারানো ইউনিয়নে এমপি পেতেন ১৫০ ভোট!

আ.লীগের জামানত হারানো ইউনিয়নে এমপি পেতেন ১৫০ ভোট!

বিএনএ, সাভার:  ঢাকার ধামরাইয়ে সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫৭০ ভোট পেয়ে জামানত হারানোর কথা উল্লেখ করে যুবলীগের এক নেতা বলেছেন, ‘এমপি নিজে এই ইউনিয়নে নির্বাচন করলে ১৫০ ভোট পেতেন।’

সম্প্রতি একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে এমন মন্তব্য করেন উপজেলা যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান। এমনই একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

এ সময় তার পাশেই ছিলেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা জেসমিন মুক্তা। আলোচনায় সায় দিতে দেখা যায় তাকেও।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় খাবার খেতে খেতে হাফিজুর রহমান বলছেন, ‘ওই যে শাহাব উদ্দিন (ধামরাই সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী) ৫৭০টা ভোট পাইছে। এক জনে কইছে এমপি সাব (বেনজির আহমেদ) আইলে ৪৭০টা পাইবো, ১৫০টা পাইবো। বেনজির সাবরে দাঁড়া করায়া দেন গা ১৫০টা পাইবো।’

এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ধামরাইয়ের আওয়ামী লীগ নেতারা। ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, যুবলীগ করে আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী হিসেবে এই ধরণের মন্তব্য সমীচীন নয়। সঠিক প্রমাণাদি থাকলে এমপি মহোদয় ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যদি জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আমি দেখিনি ভিডিওটি। এটা অবশ্যই অসুন্দর কথা, অরাজনৈতিক কথা একটি ঔধ্যত্বপূর্ণ কথা এটা শৃঙ্খলা ভঙ্গের একটা কথা। এখানে একজন চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমপিকে মিলিয়ে প্রশ্নটা বলাটাই তো ধৃষ্টতা, এটা অন্যায়।

জানতে চাইলে হাফিজুর রহমানে পাশে থাকা উপজেলা মহিলা যুবলীগের নেত্রী ও ধামরাই উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহানা জেসমিন মুক্তা বলেন, আমিতো ওই কথা শুনিনি। আমি অন্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসছি।

ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ তার সঙ্গে ছিলেন না দাবি করে তিনি বলেন, আমিতো শুনিনি। আর দলীয় ছেলেরা এ ধরণের মন্তব্য করার কথা না।

হাফিজ পাশেই ছিলো জানালে তিনি বলেন, ‘ভিডিওটা পাঠায়েন আমি দেখবো।’

জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমানকে ফোন করলে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনি যেনো কোন পত্রিকার সাংবাদিক?’ আমাকে চিনেন? হাফিজ। আমি পত্রিকা ব্যবসার সাথে জড়িত। জানেন? সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কাউকে কিছু বললে আপনার গায়েই লাগবে। আমার রাজনীতি ক্লিন ইমেজের। আমি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কাজে নেই। আপনি ছোট হবেন আমরা। আমাকে নিয়ে কাউকে নেগেটিভ কিছু বলবেন না কোনদিন।

ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে হাফিজ আরো বলেন, আমি বলবো কেনো। এলাকার মানুষ বলছে, গল্প গুজবে কথা হইছে। আমার বলার কিছু নাই। আমি এমপি সাবের সবচেয়ে কাছের মানুষ।

‘মালেক সাব যখন এমপি ছিলো একমাত্র আমি হাফিজুর রহমান একলা বেনজির সাবের পক্ষে ছিলাম। তখন ওইযে কবীর মোল্লা কন, সাকু ভাই কন, শহীদুল্লাহ্ কন যত আওয়ামী লীগের নেতা কন কেউ বেনজির সাবের সাথে ছিলো না। সারা ধামরাইতে আমি হাফিজুর রহমান এমপি সাবের সাথে থাকছি। ৫ বছর একা ছিলাম। তাকে নিয়ে আমার মুখ দিয়ে এমন মন্তব্য আসার কথা না।

এ বিষয়ে জানতে ধামরাইয়ের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কি বলবো এটা নিয়ে। সে যদি বলে থাকে সেই জানে। তাকেই জিজ্ঞেস করা দরকার।’

বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ