বিনোদন ডেস্ক: আলোচিত তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের সংসার অবশেষে ভেঙেই গেল। সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বামী রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরী। সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সারাদিন পরীমনি ও রাজ কেউই কোনো মন্তব্য করেননি। দিনভর নানা আলোচনার পর অবশেষে বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানালেন বিস্তারিত। সদ্য সাবেক হয়ে যাওয়া স্বামী শরিফুল রাজকে ডিভোর্স দেয়ার খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
পুরোনো এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পোস্ট করে পরী লিখেছেন, নিশ্চই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই। সে সময়ও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিলো। তারপরও এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করে গেছে বারবার।
পরী লেখেন, ‘সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে। একই রকম ভুলের ক্ষমা কতবার করা যায় আমি জানি না।
এসব কিছুর পরেও একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক চেয়েছিলেন পরীমণি। সেটা জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ধারণ করেনি। সবার সামনে আমার বউ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর একজন মানুষ। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে গেল প্রতিনিয়ত।
রাজকে একাধিকবার সুযোগ দিয়েছেন জানিয়ে এই তারকা লেখেন, আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বারবার সুযোগ দিয়েছি। সেও সুযোগ পেত, কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবের কারণে আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পরী লিখেছেন, আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক মাধ্যমে। এটাও তাকে আমার একপ্রকার ক্ষমা করে দেওয়া। না হয় সে আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে, তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার পরে সন্তানের যাবতীয় দায়িত্ব নিজেই পালন করতে চান পরী। সেটা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো। এতদিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার সমস্ত অভিভাবকের দায়িত্ব এখন তার মায়ের। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন। ধন্যবাদ।’
তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এমনকি রাজও কথা বলেননি এ বিষয়ে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ