32 C
আবহাওয়া
৯:১৪ অপরাহ্ণ - মে ১৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এমপি মোতালেব ও ডা. মিনহাজের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ নদভীর!

এমপি মোতালেব ও ডা. মিনহাজের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ নদভীর!


বিএনএ, চট্টগ্রাম:চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক সাংসদ আবু রেজা নদভী বলেছেন, সাতকানিয়া–লোহাগড়ায় আজকের এই অরাজকতার মূল নায়ক হচ্ছেন একজন সন্ত্রাসী–গডফাদার। ২০১৪ সালে তিনি আমার সঙ্গে ছিলেন। একবার আমি একটি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলে তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে সেখানে চলে এসেছিল, তাই আমি আর তাকে আমার কাছে ঘেঁষতে দেইনি।

বৃহস্পতিবার( ২১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সাতকানিয়া–লোহাগড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি’, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা–মামলা’র প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এসময় তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য  ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমানকে দায়ী করেন নদভী।

নদভী বলেন, আমার আজকে আপনাদের সঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে। দুদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে ডা. মিনহাজ আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। ওই মানববন্ধনের ব্যানার ও ফেস্টুনে আমি ও আমার স্ত্রীর নাম লেখা ছিল। আমরা নাকি টিআর–কাবিখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লুটপাট করেছি।

তিনি বলেন, আমি মিনহাজুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, সরকারি উন্নয়নের পাশাপাশি যে ব্যক্তি সৌদি আরবের বাদশাহর সংস্থা থেকে, ওআইসি থেকে, কুয়েতসহ নানা দেশ থেকে শত শত কোটি টাকার চ্যারিটি করছে ওই লোক দুর্নীতি করে? আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনে এমন অডিট হয়, যেখানে একটি টাকা এদিক ওদিক যেতে পারে না।’ আমি কি লুটপাট করেছি তার প্রমাণ দিতে না পারলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবকে জামায়াতের এমপি বলে সম্বোধন করেছেন  আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

তিনি বলেন,  নির্বাচনের পর থেকে সাতকানিয়া–লোহাগড়ায় জামায়াত তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। পদুয়াতে ৩/৪ হাজার শিবিরের নেতাকর্মী মিছিল করেছে। মনে হচ্ছে তারা এখান থেকে ইসলামি স্টেটের কাজ শুরু করেছে। তাহলে স্বতন্ত্র এমপি সাহেব সরকারের এমপি, না কি জামায়াতের এমপি আমি জানি না।

আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, দুটি উপজেলায় গত ১০ বছরে ৫০০ মসজিদ করেছি। হাজার হাজার নলকূপ স্থাপন করেছি। সরকারি সহায়তার বাইরে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। যেখানে আমি বিদেশ থেকে টাকা এনে এলাকার উন্নয়ন করেছি। সেখানে আমাকে কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতি কেন করতে হবে? তিনি বলেন, প্রকল্প এসেছে, আমি তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানদের বুঝিয়ে দিয়েছি। এখন দুর্নীতি হলে সেখানে হতে পারে, কিন্তু অন্যের দোষ আমার ঘাড়ে কেন চাপানো হচ্ছে।

ড. আবু রেজা নদভী বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে এখন সাতকানিয়া–লোহাগড়ায় নৌকা নাই, নৌকা নাই মানে আওয়ামী লীগ নাই। স্বতন্ত্র আছে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, স্বতন্ত্রও নাই, জামায়াত আছে। এখন জামায়াতের এমন কোনো ক্যাডার নাই, যারা মাঠে নাই।

তিনি বলেন,গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বর্তমান এমপির প্রত্যক্ষ মদদে সাতকানিয়া–লোহাগাড়ায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অপরাধে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি–ঘর ভাঙচুর, ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। নৌকার পক্ষে যারা কাজ করেছেন বাড়ি ঘরে যেতে পারছেন না। অনেকেই বিদেশে চলে যেতে চাচ্ছেন। অনেকেই ঢাকায় চলে গেছেন।

আবু রেজা নদভী বলেন, আমি এই দেশে ২৬ বছর ধরে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। হাজারো মসজিদ, ওজুখানা, মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছি। ৩০ হাজারের মত ঘরবাড়ি নির্মাণ ও সংস্কার করেছি আরব বিশ্বসহ পৃথিবীর নানা দেশের সহায়তায়। বিভিন্ন দুর্যোগে এ পর্যন্ত ৫ লাখ মানুষের হাতে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস, লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি গণি সম্রাট, নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেস উদ্দিন জাকের।

বিএনএ/এমএফ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ