বিএনএ ডেস্ক : এমন অনেক মানুষ আছেন যারা সামান্য আবেগপ্রবণ হলেই মিথ্যে কথা বলেন । এভাবেই তিনি এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পডেন। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সুখকর নয়। মিথ্যা বলার অতিরিক্ত প্রবণতা একটি মানসিক ব্যাধি।যার মেডিকেল নাম মিথোম্যানিয়া সিউডোলজিয়া ফ্যান্টাসটিকা (mythomania and pseudologia fantastica)৷
এটি একটি প্যাথোলজিকাল সমস্যাও বটে। এই সমস্যায় আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষেরই একটি অকারণে মিথ্যে কথা বলার প্রবণতা থাকে ৷ নারী ও পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরণের রোগীর সাথে চলতে হলে নিজের অনেক আবেগকে দমন করতে হতে পারে ৷ সম্পর্কের গুরুত্বের কারণে কিছু বিশেষ জিনিস মাথায় রাখলে নিজেকে ও এই সমস্যায় আক্রান্ত সঙ্গীকে ভাল রাখা যাবে ৷
শান্ত থাকা : নিজেকে শান্ত রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ, অকারণ মিথ্যে কথা শুনলে মাথা গরম হওয়াটা স্বাভাবিক ৷ কিন্তু আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে রাগের কারণে কোনও বাজে কথা বললে তা আপনার সম্পর্ককে প্রভাব ফেলতে পারে ৷
নিজেকে বোঝানো: প্রথমে নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে ৷নিজেকে নিজের সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝাতে হবে ৷ মিথ্যে কথা যে কোনও সম্পর্ককে ভেঙে দিতে পারে ৷ নিজেকে বোঝাতে হবে যে আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী একটি মানসিক সমস্যার কারণে মিথ্যে বলছেন ৷
তর্ক এড়ানো: যদি আপনার সঙ্গী ক্রমাগত আপনাকে অকারণে মিথ্যে দোষারোপ করে যাচ্ছে ৷ এবং নিজের দোষও আপনার ঘাড়ে দিচ্ছে,তবে অকারণ তর্ক বিতর্কে না জড়িয়ে ঝামেলাটি এড়িয়ে যান ৷
দোষারোপ না করা : সম্পর্কের কারণে পাওয়া বেদনার জন্য দোষারোপ করা বন্ধ করতে হবে ৷ অযথা দোষ না দিয়ে সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কেন আপনি কষ্ট পেয়েছেন ৷ এক্ষেত্রে ক্রমশ দোষ দিতে থাকলে আপনার কষ্ট বুঝার বদলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে না।
সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হওযা : সঙ্গীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওযা সম্ভব।
বিএনএ/ ওজি