বিএনএ ঢাকা: চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।তা না হলে সংক্রমণের হার এবং মৃত্যু কমানো সম্ভব হবেনা বলে জানান কমিটির প্রধান।
রোববার(১৮ এপ্রিল) রাতে অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় করোনা সংক্রমণ এর অবস্থা ও প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সারাদেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণ ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন সুপারিশ করেছিল। সরকার ইতোমধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছে। কমিটি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে দুই সপ্তাহের কম লকডাউনে কার্যকর ফলাফল আশা করা যায় না।
সভায় স্বাস্থ্য, ফায়ার সার্ভিস ও অন্য জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। খোলা রাখা জরুরি সেবার তালিকাও প্রকাশ করার অনুরোধ করেছে কমিটি। অন্যথায় বিরূপ পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে চলমান লকডাউন এ চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ডিউটির জন্য চলাচলে বাধা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে আরও এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছে কমিটি। পরবর্তী সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতাল চালু হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
নতুন ডিএনসিসি হাসপাতালে গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য একটা কর্ণার এ বিশেষায়িত (আইসিইউ) ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এদিকে,লকডাউনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আজ।সোমবার(১৯ এপ্রিল)মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি