38 C
আবহাওয়া
৪:৫২ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ডিজিটাল ব্যাংকে থাকবে না কোন শাখা-উপশাখা

ডিজিটাল ব্যাংকে থাকবে না কোন শাখা-উপশাখা


বিএনএ, ঢাকা : ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি হবে পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর। এই ব্যাংকের কোন শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা সশরীরে লেনদেনের কোন ব্যবস্থা থাকবে না।

প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে এখনো টাকা লেনদেন, হিসাব দেখার মতো কিছু সেবা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা যায়। কিন্তু নতুন যে ব্যাংক চালুর কথা বলা হচ্ছে, সেখানে সকল কাজ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। কিন্তু ব্যাংকটি আমানত গ্রহণ, ঋণ দেয়া থেকে অন্যান্য সকল কাজই করবে।

গত বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন ব্যাংক গঠনে আগ্রহীরা প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংক রয়েছে মোট ৬১টি। শাখার পাশাপাশি এসব অনেক ব্যাংকের রয়েছে অনলাইন সেবা। ডিজিটাল ব্যাংক শুধুমাত্র মোবাইল, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেই করা যাবে।

যেভাবে লেনদেন কার্যক্রম চলবে :

মোবাইল বা অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা এই ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবেন। তাদের সশরীরে ব্যাংকের কোন শাখায় যেতে হবে না। ব্যাংকের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম ইত্যাদি থাকবে না। তবে প্রধান একটি কার্যালয় থাকতে পারে।

তাদের এটিএম কার্ড বা এজেন্ট ব্যাংকিংও থাকবে না। তবে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউ আর কোড বা অন্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা থাকবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নিজস্ব তথ্যাদি আপলোড করে একজন হিসাব খুলতে পারবেন। একইভাবে ঋণ নেয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করে ঋণের আবেদন করতে পারবেন।

যারা বেতন-ভাতা বা ব্যবসার টাকা গ্রহণ করবেন, তারা অনলাইনে নিজের হিসাব নিতে পারবেন।

অন্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করেও টাকা জমা করা যাবে।

আবার অন্যদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ বা এজেন্টদের সেবা ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলন করা যাবে।

ডিজিটাল ব্যাংক ছোট আকারের ঋণ দিতে পারবে, বড় বা মাঝারি শিল্পে কোন ঋণ দিতে পারবে না। বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের জন্য ঋণপত্রও খুলতে পারবে না এসব ব্যাংক।

প্রযুক্তিনির্ভর সেবা হওয়ায় এসব ব্যাংকের কোনো কোনো সেবা দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই পাওয়া যাবে।

প্রচলিত ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সাথে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের পার্থক্য

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার খোরশেদ মকসুদ বলেন, প্রচলিত ব্যাংক সময় নির্ভর, অনেক সেবার জন্য সশরীরে যেতে হয়। ঋণ নেয়া, আমানত খোলা, স্টেটমেন্ট নেয়ার জন্য অনেক সময় ব্যাংকে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়।

কিন্তু এসব ব্যাংকে সেসব করতে হবে না। কিন্তু সব ধরনের সেবাই পাওয়া যাবে। লেনদেনের সকল বিষয় হবে ভার্চুয়ালি।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ