24 C
আবহাওয়া
৩:২৬ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » করোনার ধুম্রজাল কেটে গেছে-র‌্যাব মহাপরিচালক

করোনার ধুম্রজাল কেটে গেছে-র‌্যাব মহাপরিচালক

করোনার ধুম্রজাল কেটে গেছে-র‌্যাব মহাপরিচালক

বিএনএ,ঢাকা :করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল তা কেটে গেছে উল্রেখ করে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মানুষের মধ্যে আস্থা চলে এসেছে এবং দলে দলে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে র‌্যাব ফোর্সেস-এর ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার টিকা নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল সেটি কেটে গেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা চলে এসেছে। মানুষ এখন দলে দলে টিকা নিচ্ছেন ও নিবন্ধনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মানুষ সফলভাবে টিকা নিচ্ছেন। দেশে খুব ভালোভাবে টিকার কার্যক্রম চলছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের টিকা দান কার্যক্রম কোথায় কোথায় চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সদর দপ্তরের যেহেতু লোক সংখ্যা বেশি সেজন্য এখানে আমরা আলাদা ভাবে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ব্যাটেলিয়ানগুলো সিভিল সার্জনের ও মেডিকেল কলেজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা টিকা নিচ্ছেন। এছাড়া সিলেটে আমাদের অধিকাংশ লোক টিকা নিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আমাদের সদস্যরা টিকা নিচ্ছেন। সরকারি নিয়ম নীতি অনুসরণ করে র‌্যাব সদস্যদের পরিবারের লোকজন ও সাধারণ মানুষ র‌্যাব সদর দপ্তরে টিকা নিতে পারবেন।

র‌্যাব ডিজি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সকলের সহযোগিতায় আমরা করোনা ভাইরাসের টিকা পেয়েছি। র‌্যাব সদস্যসহ সারাদেশের মানুষ এখন টিকা নিচ্ছেন। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশই এখনো করোনার টিকা পায়নি। তবে আমরা উন্নত অনেক দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথম থেকেই টিকা পেয়েছি। আমাদের দেশের এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ লাখ মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন।

করোনার সময়ে র‌্যাব সদস্যদের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার প্রথম শুরু সময় থেকে র‌্যাব সদস্যদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিনযুক্ত খাবার, জিংক ট্যাবলেট ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট প্রদান কার্যক্রম। আবাসন ইউনিটগুলোকে আমরা জীবাণু মুক্ত করেছি। আমাদের সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা কোয়ারেন্টিনে ছিলেন সেসব জায়গা আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করেছি। ভিডিও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকি করেছি। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।

করোনায় র‌্যাব সদস্যদের আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনায় র‌্যাবের ১০ হাজার সদস্যদের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা কম ছিল (মাত্র ৬ জন)। যদিও আমাদের কাছে প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা কাজ করেছি।

করোনার সময় র‌্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি বলেন, করোনা মহামারির শুরু থেকে আমাদের অভিযান কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখেছি। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্যকে স্বাস্থ্যসচেতন করে জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দিয়েছি। এজন্য করোনাকালীন আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম কমে যায়নি। এছাড়া হেলিকপ্টার দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আমরা এনেছি এবং তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার এবং র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ টিকা নিয়েছেন।

বিএনএ/এসকে,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ