বিএনএ, ডেস্ক: মিয়ানমারের বিদ্রোহীগোষ্ঠী ভারতঘেঁষা সীমান্ত শহর পালেতোয়া নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে। জাতিগত বিদ্রোহীরা বলছে, সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পশ্চিম মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করেছে তারা। এই শহর ভারতে যাওয়ার প্রধান রুট। দেশটির তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে একটি আরাকান আর্মি (এএ)। খবর বিবিসির।
গোষ্ঠীটি অক্টোবরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন করে বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করেছিল। ‘এএ’ দাবি করেছে, তারা চিন রাজ্যের পালেতোয়া শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গোষ্ঠীটি তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, ‘পুরো পালেতোয়া এলাকায় একটিও সামরিক কাউন্সিল ক্যাম্প বা অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটি অবশিষ্ট নেই।’ তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
পালেতোয়া শহরটি ভারত ও বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এদিকে দিল্লি জানিয়েছে, তারা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। শহরটি ভারত দ্বারা সমর্থিত একটি চলমান বহু মিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংযোগ উন্নত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু হয়েছে।
মিয়ানমারের অনেক জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ‘আরাকান আর্মি’ নতুন হলেও সর্বোত্তম অস্ত্রে সজ্জিত। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে রাখাইন রাজ্যে এবং প্রতিবেশী চিন রাজ্যের কিছু অংশে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। লড়াইয়ে তারা বেশ কয়েকটি স্থানও দখল করে নেয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ক্ষমতা দখল করে। কিন্তু এর আগেই এএ যোদ্ধারা রাখাইনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছিল।
দুই বছর আগে আরাকান আর্মি রাজ্যের ৬০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছিল। গত অক্টোবরে আরাকান আর্মি ঘোষণা করে, ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অংশ হিসেবে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সংগ্রাম শুরু করেছে। দেশের বেশিরভাগ অংশজুড়ে তারা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আক্রমণ শুরু করেছে। গত ১১ সপ্তাহে জোটটি চীনা সীমান্তে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওপর।
বিএনএনিউজ/ বিএম,এসজিএন/ হাসনা/এইচমুন্নী