বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: রেলওয়ের টিকেট বিক্রির নিজস্ব সক্ষমতা এখনো গড়ে ওঠেনি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সোমবার (১৪ মার্চ) রেলভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী বলেন, রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। রেলওয়ের টিকেট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
নূরুল ইসলাম সুজন জানান, আগামী ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনের অনলাইন টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এ সময় কাউন্টারে ম্যানুয়ালি শতভাগ টিকেট বিক্রি হবে। জানান, রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নতুন কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ হতে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় চালু হবে।
মন্ত্রী জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র সাথে রেলের টিকিট বিক্রির জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়েছে। এর আগে টিকেট বিক্রি করত সিএনএস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। মানুষকে আরো ভালো সেবা দিতে নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী জানান, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রীম টিকেট ইস্যু করা হবে। এক্ষেত্রে সকল টিকেট উন্মুক্ত থাকবে কোন কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকেটিং সিস্টেম চালু করা হয়। তখন ২৭টি স্টেশনে অনলাইনে টিকেট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ৭৭টি স্টেশন থেকে অনলাইনে বিক্রি হয়। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকেট কম্পিউটারে ইস্যু করা হয়। এ সকল টিকেটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।
বিএনএ/ এ আর
