28 C
আবহাওয়া
৫:১৬ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ১০০ গুণ কমেছে : বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ১০০ গুণ কমেছে : বিশ্বব্যাংক

বিশ্বব্যাংক

বিএনএ, ঢাকা : জলবায়ু ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশকে এর উন্নয়ন অর্জন ধরে রাখতে উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।  একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় সহনশীলতা বাড়াতে অধিকতর কার্যক্রম হাতে নেওয়ার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের “বাংলাদেশ এনহান্সিং কোস্টাল রেজিলিয়েন্স ইন এ চেঞ্জিং ক্লাইমেট” শীর্ষক এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। রিপোর্টে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এ দেশের যাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝুঁকির চালিকাগুলো কি কি ও সরকার কীভাবে এসব ঝুঁকি কমিয়েছে- সে বিষয়ে এ রিপোর্টে বিশ্লেষণ রয়েছে এবং নতুন পরিপ্রেক্ষিত ও উদ্ভাবনী সমাধানের পরামর্শ এসেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনে বিশ্বে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে এবং উপকূল সহনশীলতায় সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগের জন্য পরিচিত। বাংলাদেশ দেখিয়েছে যে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কীভাবে অর্থনৈতিকসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি কমায় এবং উন্নয়ন অর্জন রক্ষা করে। একটি কৌশলগত নীতি কাঠামোর আওতায় মাঠ পর্যায়ে অভিযোজন এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং উদ্ভাবনে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে অবকাঠামো বিনিয়োগে নানা উদ্যোগের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ১০০ গুণ কমেছে।

তবে দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, পরিবেশগত অবনতি এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ঝুঁকি উপকূলীয় অঞ্চলের বিদ্যমান প্রাকৃতিক ও অবকাঠামো ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যেখানে প্রায় চার কোটি মানুষ বাস করে। সহনশীলতা বাড়াতে বাংলাদেশের আরও জরুরি কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উপকূলে জলবায়ু সহিষ্ণুতায় অধিকতর বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন করবে এবং এ ক্ষেত্রে এখনই কাজ করতে হবে। উপকূলীয় এলাকায় সহনশীলতা বাড়াতে রিপোর্টে সাতটি মূল সুপারিশ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অবকাঠামোর পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ জোরদার; স্থানীয় অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি এবং অত্যাধুনিক মডেলিং টুলসের ব্যবহার। পরিবর্তনশীল জলবায়ু এবং উপকূলে গতিশীল প্রক্রিয়ার কথা বিবেচনা করে অভিযোজনযোগ্য ডেল্টা ব্যবস্থাপনার দিক-নির্দেশনামূলক নীতি হিসেবে একটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়া অবকাঠামো বিনিয়োগ হওয়া উচিত প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের পরিপূরক হিসেবে। টেকসই সহিষ্ণুতার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কমিউনিটি অংশীদারিত্ব এবং জীবিকার অভিযোজন থেকে উপকূলীয় এলাকা উপকৃত হতে পারে। এছাড়া একটি সমন্বিত কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যার কেন্দ্রে থাকবে ঝুঁকি প্রশমন ও অন্তভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি,সমৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সাল থেকে বিশ্বব্যাংক উপকূল ও জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি এবং দুর্যোগে প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত প্রথম পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে ভোলায় মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের পর উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা প্রকল্প ছিল। বর্তমানে ১ দশমিক ৯ বিলিয়র ডলারের চলমান কার্যক্রমসহ বিশ্বব্যাংক বহুমুখী ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্র ও বাঁধ নির্মাণ, পূর্ব সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, আবহাওয়া সংক্রান্ত সেবা এবং বনায়নে সহায়তা করছে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ