28 C
আবহাওয়া
৯:১২ পূর্বাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চলতি বছরের হজ প্যাকেজ কি আছে?

চলতি বছরের হজ প্যাকেজ কি আছে?

৩০ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠাতে চায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি

বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: চলতি বছরের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১১ মে) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবছর ২টি প্যাকেজ থাকছে। প্যাকেজ-১ এ হজে যেতে ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা খরচ হবে। এই প্যাকেজের যাত্রীরা মসজিদুল হারামের ১০০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকবেন। এছাড়া প্যাকেজ-২ এ হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন খরচ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এই প্যাকেজের আওতায় হজযাত্রীরা মসজিদুল হারামের ১৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করবেন।

আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে একটি প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩০ টাকা। এছাড়া হজযাত্রীদের কোরবানি বাবদ প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৮১০ সৌদি রিয়াল বা ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হবে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হবে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা বেশি।’

প্যাকেজে খরচ বাড়ার কারণ হিসেবে ফরিদুল হক জানান, ২০২০ সালে সৌদি রিয়ালের বিনিময় হার ছিল ২৩ টাকা। এখন এই হারের পরিমাণ ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এটি প্যাকেজ মূল্য বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া সৌদি আরবে সব খাতের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ, কর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোয়াচ্ছাছা এর খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে।

২০২০ সালে ৩টি প্যাকেজ থাকলেও এবার ২টি। প্যাকেজ-৩ এর যাত্রীদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তারা প্যাকেজ-১ অথবা প্যাকেজ-২ এর যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। অতিরিক্ত টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পর ব্যাংকগুলো ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ই-হজ সিস্টেমে প্যাকেজ স্থানান্তরের সেই অর্থ প্রাপ্তি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করবে। অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত হলে হজযাত্রীকে ই-হজ সিস্টেম থেকে তার পিলগ্রিম আইডি (PID) দেয়া হবে। যদি কোনো কোটা খালি থাকে, তাহলে অবশিষ্ট কোটা পূরণের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধনের ক্রম অনুসারে পরিচালক, হজ অফিস ঢাকার অনুমোদনক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে পারবেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালে যেসব নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজ স্থানান্তরের মাধ্যমে ২০২২ সালে নিবন্ধন চূড়ান্ত করবেন না অথবা হজে যেতে পারবেন না। তাদের হজ নিবন্ধন বাতিল হবে এবং তারা বিধি অনুযায়ী টাকা ফেরত পাবেন।

বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজেন্সির সঙ্গে হজযাত্রীর চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের নিবন্ধনের অর্থ সমন্বয় করে ২০২২ সালের প্যাকেজে ঘোষিত অবশিষ্ট অর্থ নিবন্ধনকারী সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমা দিতে হবে। হজযাত্রীর কাছ থেকে প্যাকেজে ঘোষিত অর্থ পাওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট এজেন্সি তার পিলগ্রিম আইডি দেবে।

প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবে। হজ এজেন্সি ছাড়া অন্য কোনো এজেন্সির কাছে হজযাত্রীর বিমান টিকিট বিক্রির জন্য অনুমতি দেয়া যাবে না। কোনো হজ এজেন্সিকে কোনো অবস্থাতেই ৩০০-র বেশি টিকিট দেয়া যাবে না বলে জানান মন্ত্রী।

ফরিদুল হক বলেন, এ বছর ‘রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ’ এর আওতায় ঢাকার শতভাগ যাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড নিয়োগ করা হবে।

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বি-পাক্ষিক হজচুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

Hajবিএনএ/এআর

Loading


শিরোনাম বিএনএ