37 C
আবহাওয়া
৬:০১ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাবি ধর্ষণকাণ্ড: ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

জাবি ধর্ষণকাণ্ড: ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাবিতে সশরীরে পরীক্ষা শুরু

বিএনএ, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং অপর দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান ও ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেকজন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।

এদিকে, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হল ত্যাগ না করলে একাডেমিক সনদ স্থায়ীভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিলের পর যদি ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এমন কেউ হল ত্যাগ না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা মোস্তাফিজুর ও বহিরাগত মামুন। ঘটনার পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

বিএনএ/সানভীর, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ