বিএনএ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: রান্নায় হলুদের ব্যবহার যুগযুগ ধরে হয়ে আসছে। খাবারকে রং দেওয়ার কাজেই মূলত এই মশলা ব্যবহার হয়। তবে এই মশলা শুধু রান্নার কাজেই নয়, এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়েছে। শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণেরও আশঙ্কা থাকে। শীতে হলুদের ব্যবহারে আরও কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।
ত্বকের উপকারিতা: ত্বককে সুস্থ এবং উজ্জ্বল রাখতে হলুদের গুরুত্ব অনেক বেশি। কঠোর শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রচুর পরিমানে লিপিড এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শীতের সময় হজমের সমস্যা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে । হলুদ হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে দূষণকারী উপাদান থেকে মুক্তি দেয়। তাই প্রতিদিন হলুদ খান। এতে ত্বকের সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: হলুদ শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছানি, গ্লুকোমা এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকিও কমাতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে হলুদ খেলে তা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
জ্বালা কমাতে উপকারিতা: কারকিউমিন বা হলুদের মধ্যে এমন অনেক উপাদান আছে যা আন্টিইনফ্লামেটরী বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
গলা ব্যাথা এবং কাশির উপশম: হলুদে থাকা নানা উপাদান ঠান্ডার সময় গলার ব্যাথা এবং কাশির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
সংক্রমণ কমায়: সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে অনেকেই শীতকালে হলুদ দুধ পান করেন। হলুদ ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে দূর করে শীতের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। এমনকি গর্ভবস্থায় খাবারে হলুদ ব্যবহার করলে যেকোন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কীভাবে খাবেন
রান্নায় গুঁড়া হলুদের পাশাপাশি খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। দিনে একবারে ২৫০ গ্রাম কাঁচা হলুদ খাওয়াই যথেষ্ট। ভালো ফল পেতে কাঁচা হলুদে ২ গ্রাম গোল মরিচ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়ম করে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে শুধু ত্বক নয় ইমিউনিটি থেকে শুরু করে, হৃৎপিণ্ড, স্নায়ু, লিভার ভাল রাখে, এমনকি ক্যানসারের সম্ভাবনা পর্যন্ত কমতে পারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ