বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক: মধ্যরাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে ভারত। এতে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। পাকিস্তানও পালটা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি ভারতের। এতে পুঞ্চে ১০ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন।
এসব খবরের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘সাদা পতাকা’ উড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির পর আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দেয়।
বুধবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি। এতে বলা হয়েছে, উচ্চ-স্তরের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, পাকিস্তানি বাহিনী একটি শক্তিশালী প্রতিশোধমূলক অভিযানের ফলে সীমান্ত রেখা বরাবর একাধিক ভারতীয় সামরিক পোস্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ছিল চোরা কমপ্লেক্স। জীবন রক্ষায় সেই পোস্টের ভারতীয় সেনারা সাদা পতাকা উত্তোলন করে। সাদা পতাকা যুদ্ধবিরতি বা আত্মসমর্পণের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতীক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই দাবি করেছে পাকিস্তান সরকার। একই দাবিকে এক্সে পোস্ট দিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।
সেখানে তিনি বলেছেন, প্রথমে তারা (হামলার) তদন্ত করা থেকে পালিয়েছিল, এখন তারা (যুদ্ধের) মাঠ থেকে পালিয়ে গেছে।
ভারতীয় চৌকিতে সাদা পতাকা উত্তোলনের তথ্য প্রকাশ করেছে আল জাজিরাও। তবে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমটি অবশ্য স্বাধীনভাবে দাবিটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
হামলার প্রতিবাদে পাল্টা জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার সকাল থেকে দুই দেশের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চলছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে অন্তত সাতজন ভারতীয় নিহত হয়েছেন। ভারতের কয়েকটি পত্রিকা মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন বলে দাবি করছে।
পিটিআই জানিয়েছে, দুজন শিশু ও একজন নারীসহ অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। একই হামলায় ৩৮ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ভারতের পাঁচটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর ও তল্লাশি চৌকিও গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের তিনটি যুদ্ধবিমান হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম