বিএনএ ডেস্ক: দেশের অভ্যন্তরে বা সীমান্তে সব জায়গায় শান্তি চায় বাংলাদেশ। তবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ডিস্টার্ব করার অভ্যাস আছে মিয়ানমানের। সেটা নতুন নয়, বহুদিন ধরে করছে। এটা দুনিয়ার মানুষে জানে। আমাদের সরাসরি কিছু করার সাহস মিয়ানমারের নেই। এ কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মূল বার্তা হলো, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র। আমরা যুদ্ধ-বিগ্রহ চাই না, মানুষের কষ্ট হয়। আমরা সীমান্তে শান্তি চাই।
আমাদের প্রয়োজন সহনশীলতা, আর সেটা আমাদের সরকার প্রধান দেখাচ্ছেন। যুদ্ধ করলে করা যাবে, বহু মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সেটাতে কোনো ফায়দা হবে না। মিয়ানমার যদি আমাদের প্রতিনিয়ত খোঁচায়, তাহলে বাধ্য হয়ে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সার্বক্ষণিক কড়া পাহারা দিচ্ছে। তাদের পেছনে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীও নিরাপত্তা দিচ্ছে। বলেন, মূল সমস্যা সমাধানের জন্য কথা বলতে হবে, বসতে হবে। বাংলাদেশ বসার জন্য তৈরি। কিন্তু মিয়ানমার একেক বার একেক কথা বলে। তারা কথা দিয়ে কথা রাখে না।
এম এ মান্নান বলেন, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো, আমাদেরও ভালো। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, মিয়ানমারেরও ভালো। দুটি বড় রাষ্ট্র প্রতিবেশী হিসেবে মাঝখানে যেহেতু আছে, তারা এই সমস্যা সমাধানের জন্য উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আমার বিশ্বাস তারা করছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। নির্বাচনের সময় দেশের পুলিশ, ডিসি সবাই নির্বাচন কমিশনের কথা শোনে। আমরা সেই সময় প্রার্থী থাকি। আমরাও চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আর সেটা একমাত্র করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। অহেতুক একটা দল আমাদের দোষ দেয়। আমরাও তো নির্বাচনের প্রার্থী। বিএনপির কোনো কথা থাকলে নির্বাচন কমিশনকে বলুক।
বিএনএ/এ আর
