28 C
আবহাওয়া
৯:১৮ পূর্বাহ্ণ - মে ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত

টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত


বিএনএ, কক্সবাজার : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এক মাসের বেশি সময় ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির  যুদ্ধ চলছে। টেকনাফ সীমান্তের ওপারে টানা এক সপ্তাহ ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ হচ্ছে। এর ফলে টেকনাফ পৌর শহর, সাবরাং, হ্নীলা, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাছে ।

মঙ্গলবার(৫র্মাচ) সন্ধ্যায় ছয়টা থেকে বুধবার(৬র্মাচ) ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত রাখাইনের শহর মংডু শহরের উত্তরে কুমিরখালী, বলি বাজার, নাকফুরা, নাইচাডং, কোয়াচিডং, কেয়ারিপ্রাং, পেরাংপ্রুসহ কয়েকটি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ শোনা যায়।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, আরাকান আর্মিকে লক্ষ্য করে কয়েক দিন ধরে আকাশ থেকে শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমা, মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে সরকারি বাহিনী। স্থল থেকে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে জবাব দিচ্ছে আরাকান আর্মি। স্থলপথে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর টহল সীমিত হয়ে পড়েছে। এ সুযোগে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিতে অগ্রসর হচ্ছে।

মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত কয়েক দিনের যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ের প্রবেশমুখ পোন্নাগিউন শহরটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। গত সোমবার থেকে সেখানেও যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারে আরাকান আর্মির অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। কঠিন যুদ্ধ সামলে সিথুয়ে টাউনশিপের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সশস্ত্রগোষ্ঠীর লোকজন। তাতে সিথুয়ের সঙ্গে টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসা–বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে।

গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার শঙ্কায় উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের ২১ গ্রামের অন্তত ৭ হাজার জেলে নাফ নদী ও সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারছেন না। পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ সীমান্তের জমিতে চিংড়ি, কাঁকড়া ও ধান, শাকসবজি ও তরিতরকারির চাষ করতে পারছেন না। আয় রোজগার না থাকায় বহু পরিবার অর্ধাহারে–অনাহারে থাকছেন।

পালংখালী ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী ও রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাখাইনের চলমান যুদ্ধে সীমান্তঘেঁষা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার বাংলাদেশিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মতো রেশনিং ব্যবস্থায় নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাখাইনের যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিএনএনিউজ/রেহানা/এইচ.এম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ