29 C
আবহাওয়া
৬:২৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কাতারে আযান শুনে মুগ্ধ পশ্চিমা পর্যটকরা!

কাতারে আযান শুনে মুগ্ধ পশ্চিমা পর্যটকরা!


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : প্রথম বারের মত ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ হচ্ছে কোন মুসলিম দেশে। বিশ্বকাপ দেখতে হাজার হাজার পশ্চিমা পর্যটক ভীড় জমিয়েছে কাতারে। সেখানে ইসলামি কৃষ্টি কালচার দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা।

মুসলমানদের অত্যাবশ্যক ইবাদতগুলোর একটি নামাজ। প্রতিদিন মসজিদ থেকে আযানের মাধ্যমে নামাজের জন্য পাঁচবার ডাকা হয়। সে ডাকে সাড়া দিয়ে সব কাজ ফেলে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লীরা। মুসল্লীদের পাশাপাশি আযান শুনে মুগ্ধ হচ্ছেন কাতারে যাওয়া পশ্চিমা পর্যটকরাও। অনেকে হচ্ছেন আবেগপ্রবণ। তাদের মধ্যে অনেককে দেখা যাচ্ছে মোবাইলে আযানকে রেকর্ড করে নিতে।

আযান শুনে মুগ্ধ কোন কোন পর্যটক কথা বলছেন ইমাম বা মুসল্লীদের সঙ্গে। জানার চেষ্টা করছেন আযানের অর্থ। আযানের অর্থ জেনে আরও বেশি মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। আগ্রহী হচ্ছেন ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি জানার।

বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে ভীড় জমানো দর্শকদের মধ্যে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইংল্যান্ড, আমেরিকার দর্শকরাই বেশি। তাদের অনেককে আযান শুনে মসজিদে ছুটতে দেখা গেছে।

কাতারের পথে পথে দেখা মেলে মসজিদের। ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহীদের আগ্রহ মেটাতে নিয়েছে বিশেষ আয়োজন। মসজিদের পাশেই খোলা হয়েছে বিশেষ কক্ষ। যেখানে বসে চা পান করার সাথে সাথে ইসলামের সংস্কৃতি, কাতারের জীবন যাপন সম্পর্কে জানতে পারছেন পর্যটকরা। সেখানে কাজ করছে কাতারের পুরুষ ও মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা।

দর্শক এবং খেলোয়াড়দের জন্য ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে কাতার যা যা করছে:

১. সব জায়গায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্ প্রচার করা।

২. হোটেল কক্ষগুলোতে একটি বারকোড রয়েছে, যা ইসলামের শিক্ষা, হাদিস এবং মুসলিম বিশ্বাসের একটি সহজ সংজ্ঞার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

৩. তারা মসজিদের মুয়াজ্জিন পরিবর্তন করে সুন্দর কণ্ঠের লোকদের নিয়ে এসেছে এবং আজানের জন্য স্টেডিয়ামে মাইক্রোফোন রাখা হয়েছে।

৪. কাতার গেস্ট সেন্টার, ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য ২ হাজার সদস্যের একটি দল প্রস্তুত করছে, যেখানে তারা ১০টি মোবাইল গাড়ি এবং ১০টি বিশেষ তাঁবু বরাদ্দ করবে।

৫. দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় আওকাফ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইসলামিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

৬. বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামে নামাজের জায়গা এবং অজুর জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অনেক নারী পর্যটককে দেখা যাচ্ছে হিজাব নিয়ে চলাফেরা করতে। কিনছেন ইসলাম বিষয়ক বই।

অনেক অমুসলিম পর্যটক বলছেন, ইসলাম সম্পর্কে তাদের আগে ভুল ধারণা ছিল। এখানে আসার পর ধারণা বদলেছে। ইসলাম সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কা হয়েছে।

ইসলামি সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করারও ঘটনাও ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে হাজার খানেক অমুসলিম মুসলমান হয়েছেন কাতারে এসে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ