বিএনএ, চট্টগ্রাম: রাঙ্গামাটির কাপ্তাই থানার ধর্ষণ ও টাকা আত্মসাৎ মামলার আসামী মোঃ আতিকুর রহমানকে (৩৯) যৌথ অভিযানে রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ ও ১৩।
বুধবার (৩ মে) মহানগরের কোতয়ালী থানার কামলা কাছলা এলাকা থেকে ওই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুক্রবার (৫ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব-৭।
গ্রেপ্তার মোঃ আতিকুর রহমান (৩৯), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার গয়েসপুর এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভুক্তভোগীর বাবার মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা ভুক্তভোগী এবং তার বড় ভাই বন্টন করে নেয়। মোঃ আতিকুর রহমানের বাসা ভুক্তভোগীর বাসার কাছাকাছি হওয়ার সুবাধে তার সাথে পরিচয় হয়। আতিকুর তার বিবাহিত স্ত্রী থাকার কথা গোপন করে ভুক্তভোগীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত ২২ মে ২০১৯ইং এবং ৩ জুন ২০১৯ইং আতিকুর ভুক্তভোগীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর কাছে তার পিতার পেনশনের টাকা আছে জানতে পেরে আতিকুর ব্যবসার কথা বলে টাকা ধার চায়। ভুক্তভোগী সরল বিশ্বাসে আতিকুরকে গত জুলাই ২০১৯ইং মাস হতে জানুয়ারি ২০২২ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে মোট ১০ লাখ ৩১ হাজার টাকা প্রদান করে।
পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন আতিকুর বিবাহিত এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ এবং তার টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিছুদিন পর ভুক্তভোগী তার টাকা ফেরত চাইলে আতিকুর বিভিন্ন বাহানায় সময়ক্ষেপন করতে থাকে। টাকা উদ্ধারের কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী প্রতারক আতিকুরের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, আতিকুর গ্রেপ্তার এড়াতে রংপুর মহানগরের কোতয়ালী থানার কামলা কাছলা এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (৩ মে) র্যাব-৭ এবং র্যাব-১৩ যৌথভাবে উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ আতিকুর রহমানকে (৩৯), গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে উক্ত ধর্ষণ ও প্রতারণা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী এবং উক্ত ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বিএনএনিউজ/বিএম