বিএনএ ডেস্ক : ডাক্তাররা কেন খেয়ে সাথে সাথেই শুয়ে পড়তে বারণ করেন? খাওয়া আর শোয়ার মধ্যে কতটা সময়ের ব্যবধান হওয়া উচিত আসুন আমরা জেনে নিই।
ঘুমাবার সময় আমাদের শরীরকে খাবার হজম করতে বেশী কষ্ট করতে হয়। ইন্টেস্টাইনের দেওয়ালের ভিতর দিয়ে খাবার প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গ্যাস, এসিড, বুকজ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ঘুমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ওজন ও বৃদ্ধি পায়।’
ঘুমানোর অল্প সময়ে আগে খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত, যখন আপনি কোনো মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তখন তার ফলে আপনার শরীরে যে অহেতুক এনার্জি বুস্ট হয়, তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
হজমের দেরী আর অপর্যাপ্ত ঘুম- ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। দিনের শেষে মেটাবলিজম কম হয়, ফলে আপনি যা কিছুই খান না কেন, তা বার্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। হজম ভালো হওয়ার জন্য একটু আগে ডিনার করা ভালো। আমরা যা কিছু খাই, তা থেকে যদি ক্যালরি তৈরি না হয়, তবে তা ফ্যাট হিসেবে আমাদের শরীরে জমা হতে থাকে। ।
খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে মিনিমাম কতক্ষণ গ্যাপ থাকা দরকার?
ডিনার এবং ঘুমের মধ্যে অন্তত ২/ ৩ ঘণ্টা গ্যাপ থাকা প্রয়োজন। এর ফলে বদহজম, বুকজ্বালা এবং অন্যান্য স্লিপ ডিসঅর্ডারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ভরা পেটে ঘুমালে শরীরে মেটাবলিজম কমে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি ও ওবেসিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠিক একারণেই ডিনার এবং ঘুমের মধ্যে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা গ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক।
বিএনএ/ ওজি