29 C
আবহাওয়া
৪:০৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

টিকা কার্যক্রমে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে দেশ

বিএনএ চট্টগ্রাম: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে অর্ধেকের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। পর্যায়ক্রমে সবাই ডাবল ডোজের আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব।  এই সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়।

সে সময় তিনি আরও বলেন, এই টিকা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ১৫তম অবস্থানে চলে আসবে। টিকা কার্যক্রমে পৃথিবীর সব মহলে দেশ প্রশংসিত হয়েছে। কোভিডের মতো এত বড় মহামারি বিগত একশ বছরে কেউ দেখেনি।

লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বৈশ্বিক মহামারির এ সময়ে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার সুদক্ষ  নেতৃত্বে চিকিৎসক-নার্স,  প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাসহ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করার কারণে করোনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণে টিকা নিয়ে আর কোনও সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, দেশের ৭ কোটি ১৩ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে ২ কোটি। কয়েকদিনের মধ্যে আরও ৩ কোটি ডোজ আসবে। প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ এবং নিয়মিত ৫ লাখসহ মোট ৮০ লাখ ডোজ টিকা একদিনে প্রয়োগ করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড চিকিৎসা ও ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বল্প সময়েধ্যে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টিকার জন্য চুক্তি করা হয়। এসব দেশ থেকে কোভ্যাক্স, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোফার্মা ও ফাইজার টিকা এনে মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। প্রতিমাসে দুই থেকে আড়াই কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাচ্ছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হয়েছে।

চিকিৎসক-নার্স সংকটের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, করোনাকালীন বিশেষ ব্যবস্থায় ৪ হাজার চিকিৎসক এবং ১৪ হাজার মিডওয়াইফারি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে চিকিৎসক-নার্স সংকট রয়েছে, সেখানে অল্পদিনের মধ্যে তাদের পদায়নের মাধ্যমে সংকট নিরসন করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ১২ বছর সময়কালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ৫ লাখ ডাক্তার-নার্স-কর্মচারী সম্পৃক্ত হবে। এতে এদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আর কাউকে অন্য দেশে যেতে হবে না। বিদেশিরা বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসবে। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে হাজারো ডলার বাইরে যাবে না। এ ব্যাপারে সরকার মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে দ্রুত অক্সিজেনারেটর আমদানি করা হচ্ছে। এই মেশিন বাতাস থেকে প্রতি মিনিটে ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। এই একটি মেশিন ১০০ জনকে অক্সিজেন দিতে সক্ষম। ইতোমধ্যে ৩টি অক্সিজেনারেটর আমদানি করা হয়েছে। এগুলো চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও গোপালগঞ্জে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১২৫ মেট্রিক টন থেকে বর্তমানে ৩৩০ মেট্রিক টন অক্সিজেন মজুদ রয়েছে। আরও ৮০ টি অক্সিজেনারেটর মেশিন বসলে প্রত্যেক বিভাগে ও জেলায় মানুষ এটির সুবিধা পাবেন। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২ হাজার ২০০ টি আইসিইউ বেড রয়েছে বলে জানান লোকমান হোসেন মিয়া।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ