34 C
আবহাওয়া
৭:৪৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দেড় যুগ ধরে গার্মেন্টস পণ্য চুরির মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

দেড় যুগ ধরে গার্মেন্টস পণ্য চুরির মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৪

গার্মেন্টস পণ্য চুরি

বিএনএ: প্রায় দেড় যুগ ধরে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির জন্য প্রস্তুত করা এমন শতকোটি টাকার গার্মেন্টস পণ্য চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালম কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন: শাহেদ ওরফে সাঈদ ওরফে বদ্দা (৫২), ইমরাত হোসেন সজল (৩৭), শাহজাহান ওরফে রাসেল ওরফে আরিফ (৩০) ও হৃদয় (২৮)।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার, গোপালগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কাভার্ড ভ্যানসহ ব্রাজিলে রফতানি করা পণ্যের স্যাম্পল ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানির সময় দুই হাজারের বেশি কাভার্ডভ্যান থেকে শত শত কোটি টাকার রফতানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য চুরি করে আসছিল চক্রটি। ২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরির পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাবের গোয়েন্দা দল এ চক্রকে ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।

মঈন বলেন, ৬ জানুয়ারি ব্রাজিল থেকে পাঠানো একটি ভিডিওর মাধ্যমে আমরা এ চক্রের চুরির খবর জানতে পারি। যেখানে বলা হয়, প্রায় বেশিরভাগ কার্টনের ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ পোশাক তারা বুঝে পায়নি। এমনকি কিছু কার্টন খালি ছিল। ওই শিপমেন্টে ২৬ হাজারের বেশি পোশাক ছিল। যার প্রায় ৮ হাজারের মতো পোশাক চুরি হয়। প্রায় ৩০ শতাংশ পোশাক তারা সরিয়ে ফেলে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মাত্র দুই ঘণ্টায় চক্রটি তাদের চুরির কাজ সেরে ফেলতো। যে কাভার্ড ভ্যানে করে তারা ব্রাজিলের পণ্য চুরি করে সেই কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। জানান, এই চোর চক্র সেদিন দুটি অপারেশন পরিচালনা করে। এমনকি মাসে তারা ৫০টিরও বেশি অপারেশন পরিচালনা করে থাকে।

কীভাবে তারা এ চুরিক করে সে বিষয়ে মঈন বলেন, মূলত বায়ারদের স্যাম্পল দেখে তারা সেই স্যাম্পল বাজারে যাচাই করে। যদি সেই পণ্যের মূল্যমান ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার মতো হয়, তবেই তারা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে। খুব কৌশলে তারা কার্টনের ভেতর থেকে কিছু পণ্য (আনুমানিক ৩০ শতাংশ পণ্য) সরিয়ে আবার সেই কার্টন আগের মতো টেপ মেরে প্যাক করে ফেলে। যাতে কোনোভাবে টের পাওয়া না যায়। এভাবে তারা প্রতিটি বাক্স থেকে পণ্য সরিয়ে তাদেরই ভাড়া করা আরেকটি কাভার্ড ভ্যানে সরিয়ে ফেলে।

গডফাদার শাহেদের বিষয়ে মঈন বলেন, সবার কাছে পরিচিত ‘বদ্দা’ মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেন ২০০৮ সাল থেকে। ১০ বছরের মাথায় ২০১৮ সালেই তিনি গডফাদার বনে যান। যার বিরুদ্ধে ১৭ থেকে ১৮ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুইটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করছে। এমনকি বেশ কয়েকটি বাংলোসহ বাড়ি ও বিপুল অর্থের খোঁজ মিলেছে।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ