37 C
আবহাওয়া
৭:৫৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » লকডাউনে বিক্রেতাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

লকডাউনে বিক্রেতাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

লকডাউনে বিক্রেতাদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ

বিএনএ, সাভার,ইমরান খান:করোনা উর্দ্ধগতি সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের আজ তৃতীয় দিন। ‘কঠোর লকডাউন’ সফল করতে সেনা মোতায়েন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছে সারা দেশ। অপ্রয়োজনে কাউকে ঘরের বাহির হইতে দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় হাটবাজারে বিক্রেতারা উপস্থিত থাকলেও ক্রেতাদের কোন সাড়া নেই।

সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা যায় বিক্রেতারা বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে বসে আছে। কিন্তু ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায় খাটানো মূলধনও এখন ভেস্তে যেতে বসেছে ব্যবসায়ীদের। তাদের ললাটে (কপালে) যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। দীর্ঘ শ্বাসই হচ্ছে এখন তাদের একমাত্র সান্তনা।

আশুলিয়া কাঠগড়া বাজারে কাঁচামালের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, করোনাকালীন সময়ে এমনিতেই বেচাকেনা কম। তার মাঝে এখন চলছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে কেউ বাজারে আসছে না। ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় মাল (কাঁচামাল) বিক্রি হচ্ছে কম।

ধামরাইয়ের কাঁচামাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে লোক কম। পাঁচ হাজার টাকায় মাল কিনেছি। এক হাজার টাকার মালও বিক্রি করতে পারি নাই। আর একদিন পরে মাল নষ্ট হয়ে যাবে। বিক্রি করতে না পারলে চালান সহ লস হবে।

কালামপুর বাজারের আম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, মানুষ বাজারে না আসলে বিক্রি করব কার কাছে। পাকা আম কয়দিন পরেই পঁচে যায়। লকডাউনের জন্য বিক্রি কম হওয়ায় যেমন মালও নষ্ট হবে আমিও ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

কাওয়ালিপাড়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা ঢাকা শহরের শেষ প্রান্তে থাকি। এখানে এখনো আধুনিকের ছোঁয়া ঐরকম লাগেনি। লকডাউনে খাবার হোটেলে যে নিয়ম করা হয়েছে সেভাবে বিক্রি হয় না। তাই লকডাউনে হোটেল বন্ধই রাখতে হয়। আর হোটেলের কর্মচারীদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হবে। আপনিই এবার বলুন লাভ হবে না ক্ষতি হবে।

বিভিন্ন হাটবাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, কঠোর লকডাউনে ক্রেতা শুন্যতায় বিক্রি হচ্ছে না। মূলধনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে এবং ক্রেতাদের উপস্থিতি না হলে পরিবার নিয়ে পথে বসতে হবে। কষ্টে দিন অতিবাহিত হচ্ছে নিম্ন থেকে মধ্যআয়ের পরিবারের। তাদের ললাটে (কপালে) যেন দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির অপেক্ষায় সবাই প্রহার গুনছে।
বিএনএ/ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ