24 C
আবহাওয়া
৮:৩৪ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪৯ (কুমিল্লা-১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪৯ (কুমিল্লা-১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম।  আজ  থাকছে  কুমিল্লা-১ আসনের হালচাল।

কুমিল্লা – ১ আসন 

কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসনটি মেঘনা ও দাউদকান্দি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৯ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩ হাজার ৩ শত ২৪ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৭ হাজার ১ শত ৫৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৯ হাজার ৯ শত ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের  মর্তুজা হোসেন মোল্লা। নৌকা  প্রতীকে তিনি পান ২১ হাজার ৩ শত ৮০ ভোট ।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির এম কে আনোয়ার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির এম কে আনোয়ার কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩ শত ৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১ হাজার ৩ শত ৫১ জন। নির্বাচনে বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন।  ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৯ হাজার ৩ শত ৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের   জাহাঙ্গীর আলম সরকার।  নৌকা   প্রতীকে  তিনি পান ২৯  হাজার ৫ শত ৯৪ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬ শত ৫৭ জন। নির্বাচনে বিএনপির এম কে আনোয়ার বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে  তিনি পান ৭৩ হাজার ৯ শত ৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের  জাহাঙ্গীর আলম সরকার।  নৌকা প্রতীকে   তিনি পান ৩৪ হাজার ৬ শত ৪৫ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৩ শত ৮৩ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১৮ হাজার ৭ শত ২৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে  তিনি পান ১ লাখ ১৪ হাজার ৮ শত ১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির  ড: খন্দকার মোশাররফ হোসেন । ধানের শীষ  প্রতীকে   তিনি পান ৯৬ হাজার ৩ শত ৭৮ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৪ শত ৩১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১২ হাজার ৮ শত ১৩ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন । নৌকা প্রতীকে  তিনি পান ৯০ হাজার ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী   নাঈম হাসান । কলস  প্রতীকে   তিনি পান ১৮ হাজার ৫ শত ৭২ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়  জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন  করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯ শত ৬৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬ শত জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। নৌকা  প্রতীকে আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ড: খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আবু জায়েদ আল মাহমুদ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বশির আহমেদ, বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের সুলতান মহিউদ্দীন, রিক্সা প্রতীকে খেলাফত মজলিসের মোহসীন উদ্দীন বেলালী, সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আল আমিন ভুইযা এবং মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের  সুবিদ আলী ভুঁইয়া বিজয়ী হন। নৌকা  প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৫ হাজার  ৮ শত ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির  ড: খন্দকার মোশাররফ হোসেন । ধানের শীষ  প্রতীকে তিনি পান ৯৫ হাজার ৫ শত ৪২ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে বিএনপি  এবং  নবম, দশম  ও একাদশ সংসদ আওয়ামী লীগ  বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর  কুমিল্লা-১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুমিল্লা-১ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৭.৭৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২.০১%, বিএনপি ৭১.৯৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৬.০০% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬২.০৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯.২০%, বিএনপি ৬৮.৪৩% জাতীয় পাটি ০.৮৩%, জামায়াত ইসলামী ০.৫৪% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.০০% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬২.৬৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩১.৫৯%, ৪ দলীয় জোট ৬৭.৪২%, জাতীয় পাটি ০.৫৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৪৫% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৩.৩০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৩.১৪%, ৪ দলীয় জোট ৪৪.৬১% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.২৫% ভোট পায়।

কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) : এ আসনের বর্তমান  সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের অবসরপ্রাপ্ত  মেজর জেনারেল  সুবিদ আলী ভুইয়া। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। সুবিদ আলী ভুইয়া ছাড়াও মনোনয়ন চাইবেন  মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর। মনোনয়ন চাইতে পারেন সাবেক সেনাবাহিনীপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়াও।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি দলের একক প্রার্থী।  ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অন্য কোনো আসনে প্রার্থী হলে তার ছেলে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন এ আসনে প্রার্থী হতে পারেন

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মাহমুদ মাখন সরকার ।

নির্বাচনী ভাবনা নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল  সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় দাউদকান্দি-মেঘনা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছেন।। আসনটি ধরে রাখার কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাকেই  মনোনয়ন দিবেন বলে তার বিশ্বাস রয়েছে। বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার বিকল্প এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগে কেউ নেই বলে উল্লেখ করেন সুবিদ আলী।

নির্বাচন ভাবনা প্রসঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সব মিথ্যা-বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং দেশে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে  লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। নির্বাচনে  বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেন ড. খন্দকার মোশারফ।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে এ আসনে উপনির্বাচনসহ বিএনপি পাঁচবার, আওয়ামী লীগ চারবার এবং জাসদ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একবার করে বিজয়ী হন। এটি বিএনপি ঘাটি হিসাবে পরিচিত।

২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুরে এক বিশাল জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাত ধরে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সুবিদ আলী আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে পরাজিত করে আসনটি প্রায় ৩৫ বছর পর পুনরুদ্ধার করেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত দশম ও একাদশ সংসদ  নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৫ বছরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন সংসদ সদস্য সেনাবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্ত। দলকেও বেশ সংগঠিত করেছেন। কিন্তু তার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের দা-কুমড়া সম্পর্ক। দশম সংসদ নির্বাচন থেকেই এ অন্তর্কলহ শুরু। যা এখনো অব্যাহত আছে। নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশের অভিযোগ, দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা, আত্মীয়করণ, স্বজনপ্রীতি করেন সুবেদ আলী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে নিয়ে দলের অন্তর্কলহ আবারও সামনে এসেছে। সেই দিক থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে।

বিএনপি এই আসনে সাংগঠনিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী।  দলে নেই কোন গ্রুপিং। তাছাড়া হেভিওয়েট প্রার্থী খ্যাত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিএনপি সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে গ্রুপিং না থাকায় সাংগঠনিকভাবে দলটি অনেক শক্তিশালী।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৪৯ তম সংসদীয় আসন (কুমিল্লা-১) আসনটিতে  আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনএ/ শাম্মী, রেহানা, ওজি,ওয়াইএইচ

আরও পড়ুন : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-২৪৮ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ