বিএনএ ডেস্ক: সিলেটের পর এবার উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, উত্তর-পূর্বে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে। এ ছাড়া ভারতের সিকিমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যার ঢল নেমে আসবে তিস্তা ও যমুনায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে ওই এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
ভারতের কেরালা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করেছে বর্ষা। সিকিমসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টিপাত। চলতি বছর স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
ভারতের কেরালা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হলে এর প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর-কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলায়। বাড়বে যমুনা ও তিস্তার পানি।
এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, আপাতত নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। তবে বৃষ্টির কারণে ১৫ দিনের মধ্যে বাড়বে এসব অঞ্চলের নদ-নদীর পানি।
এদিকে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। এ কারণে আগামী পাঁচ দিন রংপুর-কুড়িগ্রামসহ উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানিও বাড়ছে। তবে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢল বন্ধ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হয়নি ভারী বৃষ্টিপাত।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা ছাড়া আর কোনো নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর নেই। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান নেওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৪ শ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার ২৫০ বস্তা শুকনো খাবার, শিশু ও গো খাদ্যের জন্য ৯ লক্ষ করে ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা