24 C
আবহাওয়া
৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশে সাংবাদিকতার প্রবাদপ্রতিম পুরুষ, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ষাটের দশকে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬৯ সালের পহেলা জুন  পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।ইত্তেফাকের প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সেখানে যান মানিক মিয়া।

‘রাজনৈতিক ধোঁকাবাজি, ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ আর ‘রঙ্গমঞ্চ’ শিরোনামে কলাম লিখে বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতাকামী করে তোলেন মানিক মিয়া। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে  আমৃত্যু নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তিনি।

১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মানিক মিয়া। বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৩৫ সালে বিএ পাস করে পিরোজপুর মহকুমা হাকিমের আদালতে সহকারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদের পরিচালনা বোর্ডের সেক্রেটারি পদে যোগ দেন তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া।

তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া

১৯৪৮ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে ঢাকায় চলে আসেন এবং সাপ্তাহিক ইত্তেফাকের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৫৩ সালে তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ রূপান্তরিত হয়। মানিক মিয়ার সম্পাদনায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সামরিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯৫৯ সালে  এক বছর কারাভোগ করেন তিনি। ১৯৬৬ সালে আবারও গ্রেফতার হন মানিক মিয়া। সে সময় দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ এবং নিউ নেশন প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে তার প্রতিষ্ঠিত অন্য দুটি পত্রিকা ঢাকা টাইমস ও পূর্বাণী বন্ধ হয়ে যায়। গণআন্দোলনের মুখে সরকার ইত্তেফাকের ওপর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ফলে ১৯৬৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পত্রিকাটি ফের প্রকাশিত হয়।

এদিকে, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এরঅংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে জাতীয় পার্টি (জেপি)।এছাড়া মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপির পক্ষ থেকে এতিমখানায় কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ