30 C
আবহাওয়া
৭:১১ অপরাহ্ণ - মে ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শিগগিরই গণমাধ্যম কর্মী আইন সংসদে তোলা হবে:তথ্যমন্ত্রী

শিগগিরই গণমাধ্যম কর্মী আইন সংসদে তোলা হবে:তথ্যমন্ত্রী

শিগগিরই গণমাধ্যম কর্মী আইন সংসদে তোলা হবে:তথ্যমন্ত্রী

বিএনএ,ঢাকা: খুব শিগগিরই গণমাধ্যম কর্মী আইন সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।আইনটি পাশ হলে গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার(১ ফেব্রুয়ারি)রাজধানীর বাংলামোটরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানির কার্যক্রম পরিদর্শন করে মন্ত্রী আরও বলেন,কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কারণে টেলিভিশনগুলো আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে।সবাই যেন বেতন ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধ করেন। খুব সহসা গণমাধ্যমকর্মী আইন পার্লামেন্টে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন,এখন যেসব কোম্পানি টিআরপি নির্ধারণ করে, তা অসচ্ছ ও ভৌতিক।সেখানে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।সঠিক টিআরপি নির্ধারণে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কাজে লাগনো হবে।সেজন্য ইতিমধ্যেই একটা কমিটি হয়েছে,কমিটি বেশ কয়েকটা বৈঠক করেছে।খুব সহসা সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি এব্যাপারে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল সার্পোট দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে।কিভাবে ১০ হাজার স্যাম্পল কন্টিনিউয়াসলি কালেকশন করা যায় সেই কারিগরি সহায়তা দিতে তাদের প্রস্তুতি অত্যন্ত আনন্দের খবর।সব বিদেশি চ্যানেলগুলোতে আইন অনুযায়ী ক্লিনফিড চললে দেশের টেলিভিশন শিল্পই যে শুধু উপকৃত হবে তা নয়, পত্রপত্রিকা থেকে শুরু করে পুরো গণমাধ্যমের সবাই উপকৃত হবে, বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন,২০১৯ সালের ২রা অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের সবক’টি স্যাটেলাইট চ্যানেল বিদেশি স্যাটেলাইটের স্লট ভাড়ার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে।বাংলাদেশের পতাকা সংবলিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে বাংলাদেশের বিজয়কেতন উড়ছে।নিজস্ব স্যাটেলাইট টেলি-মেডিসিন, টেলি-এডুকেশন, ইন্টারনেট সেবাসহ দেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নের স্বার্থে আরও অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো কোনও ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না।বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।কিন্তু বিদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন এখনও প্রদর্শিত হচ্ছে।আইন কিন্তু সেটাকেও অনুমোদন করে না।এটি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কাজ চলছে।বিএসসিএল জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনে ক্লিনফিড তৈরি করে দিতে পারবে,যদিও এ দায়িত্ব যারা লাইসেন্স নিয়েছে তাদেরই।বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের দায়িত্ব হচ্ছে এ দেশের আইন অনুসরণ করে ক্লিনফিড পাঠানো বা ক্লিনফিড সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার নমুনা ‘কন্টিনিউয়াসলি কালেকশন’করে সেভাবেই টিআরপি দেয়া হয়।সেখানে সরকারের আওতাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েকটি সংযুক্ত সংস্থার মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

সে সময় বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, পরিচালক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলমসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ