27 C
আবহাওয়া
৯:৩১ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অং সান সুচির ঐতিহাসিক বাড়িটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!

অং সান সুচির ঐতিহাসিক বাড়িটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!

অং সান সুচির ঐতিহাসিক বাড়িটি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!

মায়ানমারের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার(২২ আগস্ট) দেশটির ক্ষমতাচ্যুত এনএলডি নেত্রী দা অং সান সু চির পারিবারিক ঐতিহাসিক বাড়িটি বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। সে সাথে বাড়িটি বিক্রি করার জন্য তার বড় ভাই উ অং সান উর আবেদন মঞ্জুর করেছে।

ইয়াঙ্গুনের লেকসাইড ভিলা যেখানে পূর্ববর্তী সামরিক শাসনামলে সু চিকে ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।

বাড়িটি নিয়ে কয়েক দশক ধরে  অং সান সু চি এবং তার বড় ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ২০০০ সালে যখন সু চি গৃহবন্দী ছিলেন, তখন উ অং সান উ তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন যে বাড়িটি তার।

একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বলেন, প্রায় দুই একর জমিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য  প্রায় ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার( যা বাংলাদেশি টাকায় ২শত৫৮ কোটি ৩৮লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০টাকা)।

উ অং সান উয়ের মামলাটি প্রথমে আদালতের দ্বারা বাতিল করা হয়েছিল, কিন্তু তারপরে তিনি সম্পত্তির যৌথ মালিকানা দাবি করে একটি নতুন মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালে, ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত রায় দেয় যে অং সান সু চি দোতলা ভবন এবং অর্ধেক জমির মালিক, যখন সম্পত্তির নিচতলা ভবন এবং অর্ধেক জমি তার ভাইয়ের।

জানুয়ারী ২০১৯-এ, ইউ অং সান ওও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, বাড়িটি নিলাম করার এবং আয়ের একটি অংশ তাকে প্রদানের। সোমবার জান্তা-নিয়ন্ত্রিত সুপ্রিম কোর্ট তার আবেদন মঞ্জুর করেছে।

এনএলডি নেত্রী ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চি বর্তমানে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতো এর একটি নির্জন কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

অং সান সু চির আইনজীবী বলেছেন যে, অং সান সু চি বাড়িটিকে তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দা খিন চি ফাউন্ডেশনের অধীনে ব্যবহার করতে চান। তাছাড়া বাড়িটি তাদের মায়ের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

ইয়াঙ্গুনের ইনিয়া লেকের তীরে ৫৪ ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউতে ঔপনিবেশিক ধাঁচের বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। ২০১২ সালে সু চি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে বাড়িতে স্বাগত জানান।
১৯৪৭ সালে অং সান সু চির পিতা মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের হত্যার পর ১দশমিক ৯ একর জমি তৎকালীন সরকার অং সান সু চি-এর মা ডা খিন কি কে দিয়েছিল। ১৯৮৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার মা এই বাড়িতেই থাকতেন। সূত্র : ইরাবতি নিউজ

বিএনএনিউজ২৪,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ