বিএনএ, ঢাকা : কোন উদ্ভাবনী স্বত্ত্বার মালিকানার সুরক্ষা দিতে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন-২০২১’ এর খসড়ায় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পেটেন্ট আইন-২০২১ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পেটেন্ট আইনে নতুনত্ব বা উদ্ভাবনী কোনো কাজ বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য বা প্রক্রিয়াই উদ্ভাবনী পেটেন্ট যোগ্য হবে, এটি আইনের মধ্যে বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবকের আবেদনের ফলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উদ্ভাবক বা যৌথ উদ্ভাবককে পেটেন্ট সুরক্ষা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পেটেন্টের মালিক ২০ বছরের জন্য পেটেন্টের অধিকার স্বত্ত্বা পাবে। পেটেন্ট উদ্ভাবনের ২০ বছর পর স্বত্ত্বাটি পাবলিক প্রোপার্টি হয়ে যাবে।’
কোনো ক্ষেত্রে যদি জেনেটিক রিসোর্সের অবৈধ ব্যবহার হয় সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাবে। পেটেন্ট বাতিলকরণ এবং পেটেন্ট অধিকার কার্যকরণের ব্যবস্থাও এই আইনে আছে। এই আইনে যেসব মামলা মোকদ্দমা হবে সেগুলো সিভিল কোর্টে (দেওয়ানি আদালতে) হবে। সিপিসি সিভিল কোর্ট কর্তৃক মোকাবেলা করা হবে। তবে কেউ চিটিং করলে সেগুলো প্যানাল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। কিন্তু সাধারণভাবে যেমন কোন অধিকার বা ক্ষতিপূরণ সেগুলো সিভিল কোর্টের দণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং দেওয়ানি আদালতে বিচার হবে।
আইনের বিভিন্ন ধারার আদেশ পালনে যদি কেউ ব্যর্থ হয় তাহলে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ করা হবে। এখানে একটি রেজিস্ট্রারের দফতর থাকবে। সেই দফতরের কাছে সব সুপারভিশন থাকবে।
এছাড়া ‘বাংলাদেশ শিল্প-নকশা আইন-২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম।