ঢাকা : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাসে সীমিত থাকবে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যেকোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করব; এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
“আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনো রকম দুর্ভোগ মেনে নেব না। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো সভা-সমাবেশ আমরা মেনে নিতে পারি না।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশীলবরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কোটা সুবিধা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? একথা তিনি যথার্থই বলেছেন।
“৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙালি জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনো রকম আস্ফালন আমরা মেনে নেব না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বেঁচে থাকতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে- তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে না?
“যারা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে, তারা কীভাবে মেধাবী হয়? তারা কীভাবে জাতি কিংবা ছাত্র সমাজের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে?”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছি, এই আন্দোলনের কুশীলব জামায়াত-বিএনপিসহ অপশক্তির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানাচ্ছি।”
এসজিএন/ হাসনা
