বিএনএ, চট্টগ্রাম : বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ টেস্টের অনুমতি পেয়েছে চট্টগ্রামের এপিক হেলথ কেয়ার। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
চট্টগ্রাম থেকে বিদেশগামী যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এপিক হেলথ কেয়ারকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় সূত্র জানায়। উল্লেখ, এপিক হেলথ কেয়ার আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।
এপিক হেলথ কেয়ার লি: আগে থেকে কোভিড–১৯ এর ‘আরটি পিসিআর’ এবং ‘এ্যান্টিজেন’ টেস্ট করে আসছে। এবার বিদেশগামীদের কোভিড- ১৯ টেস্ট করার অনুমতি পেল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিদেশে গমনেচ্ছু যাত্রীদের কোভিড-১৯ টেস্ট করার জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এপিক হেলথ কেয়ারকে যে সব শর্ত মানতে হবে তা হচ্ছে:
১. যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাবদ ফি হিসেবে সর্বোচ্চ ২৫০০/(দুই হাজার পাঁচশ টাকা) গ্রহণ করা যাবে।
২.কোন বেসরকারি আরটি-পিসিআর ল্যাব কোন বিমান সংস্থার সাথে কোভিড সনদ প্রদানের জন্য বাধ্যতামূলক ল্যাব হিসেবে তালিকাভূক্ত হতে পারবেনা।
৩. সর্তকতার সাথে কোভিড স্যাম্পল সংগ্রহ, সঠিক পরীক্ষা ও সঠিক রির্পোট প্রদান করতে হবে।
৪.যাত্রীদের রির্পোট যেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে দেখতে পায় সে জন্য সঠিক তথ্য যথাসময়ে অভিজ্ঞ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিএইচআইএসটু সফটওয়্যোরে এন্ট্রি দিতে হবে।
৫. যাত্রীদের পাসপোর্ট ও টিকেটের ফটোকপি যাচাই করে বিমান ছাড়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হবে এবং ২৪ ঘস্টা পূর্বে রির্পোট প্রদান করতে হবে।
৬. স্যাম্পেল কালেকশানের জন্য আলাদা স্যাম্পেল বুথ স্থাপন করতে হবে।
৭.বিদেশীগামী যাত্রী সহয়তা করার লক্ষ্যে একটি হট লাইন নাম্বার চালু করে তা ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে হবে।
৮.ল্যাবসমূহকে আইইডিসিআর কর্তৃক কোয়ালিটি কন্ট্রোল যাচাইয়ের নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইপিক হেলথ কেয়ারের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড মেডিকেল সেন্টারকে কোভিড সনদ প্রদানের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ ।
বিএনএ/ ওজি