বিএনএ,সাভার: গার্মেন্টস সেক্টরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের বিক্ষোভ লেগেই থাকতো। গার্মেন্ট শ্রমিকদের মাঝে বিদ্রোহী মনোভাব দেখা দিতো। বস্ত্রশিল্প যখন প্রায় ধ্বংসের দিকে ঠিক তখনই সেই সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিল্প পুলিশ গঠন করে দিয়েছেন। যার ফল আপনারাই দেখতেছেন। গার্মেন্টস সেক্টরে মালিকপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের একটা সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিল্প পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের সময় সাভারে এসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ওই কোনে বসে ছিলাম। কিভাবে শ্রমিক অসন্তোষ কমানো যায়। আজ কিন্তু সেই জায়গাতে আমাদের শিল্পপুলিশ মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছে। এই বন্ধুত্বের সম্পর্কের জন্য আজকে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।
এসময় তিনি আরো বলেন, ১০০টির অধিক দেশে আমাদের ফ্যার্মাসিটিকেল ঔষুধ যায়। এটা আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় সম্ভব হয়েছে। আজ আমাদের পুলিশ নিয়ে জোর গলায় বলতে পারি ‘আমাদের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের পুলিশ যে কোন চ্যাঞ্জেল মোকাবেলা করতে পারে। আমাদের পুলিশ দেশের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এদেশের পুলিশ হবে জনগণের পুলিশ।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ও বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
বিএনএ/ইমরান খান,ওজি