বিএনএ ডেস্ক: ভিসা না পেয়ে রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে গত ২৬ আগস্ট বিক্ষোভ করেন অসংখ্য ভিসাপ্রত্যাশী। ওইদিন স্লোগানে-স্লোগানে তারা বলতে থাকেন- ‘এক দফা এক দাবি, ভিসা চাই ভিসা চাই, ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, ভিসা দে নইলে টাকা ফেরত দে।’ এ ঘটনার চারদিন পর অবশেষে উদ্ভূত সংকট নিয়ে মুখ খুলল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল জানিয়েছেন, আপাতত বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তবে, এ কার্যক্রম চলছে সীমিত পরিসরে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা প্রদান করছি। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আইন ও শাসন ফিরে আসবে, তখন আমরা ভিসা নিয়ে পরিপূর্ণ কাজ শুরু করব।’
এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাকে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন রণধীর জসওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, হাসিনা খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন। এর বাইরে তাদের কাছে আর কোনো খবর নেই।
এসব বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ভারতীয় এ কূটনীতিক দাবি করেন, বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবে সত্য নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল সেটির বক্তব্য এই প্রতিবেদনে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া যৌথ পানি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যে বাংলাদেশের সঙ্গে নিয়মিত এবং সময়মতো তথ্য আদান প্রদান করি, সেটিও প্রতিবেদনে বলা হয়নি।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা