35 C
আবহাওয়া
২:০৭ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৯৩ (ঢাকা-২০)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৯৩ (ঢাকা-২০)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল সংসদীয় আসন-১৯৩ (ঢাকা-২০)

বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে ঢাকা-২০ আসনের হালচাল।

ঢাকা-২০ আসন

ঢাকা-২০ সংসদীয় আসনটি ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে উত্তর-পশ্চিম দিকে ধামরাই উপজেলার অবস্থান। এটি জাতীয় সংসদের ১৯৩ তম আসন।

২০০১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার পর, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে জনসংখ্যার পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য, সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ঢাকা- ২০ আসনটি সৃষ্টি করে।

YouTube player

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদ বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫ শত ৩৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩০ হাজার ৪ শত ৬০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ব্যfরিস্টার জিয়াউর রহমান খাঁন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯৩ হাজার ১ শত ৭৭ ভোট।

দশম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের এম এ মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এম এ মালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদ বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২০ হাজার ২ শত ২৩ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭২ হাজার ১ শত ৭ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদ, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির খান মো. ইসরাফিল, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুল মান্নান, তারা প্রতীকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির এম এ মান্নান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বেনজীর আহমেদ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭ শত ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুল মান্নান। হাতপাখা প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৭ হাজার ২ শত ৬৮ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ টানা বিজয়ী হয়।

ঢাকা-২০ সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী লীগ থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন ধামরাই আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক, ধামরাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির, এবং সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাকু।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম। মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানা আহমেদ এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।

আরও পড়ুন : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১৯২ (ঢাকা-১৯)

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, এটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ছেলে ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান এরশাদ পতন-পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরে বিএনপির প্রার্থী হয়ে বর্তমানে ২০ আসনে (তৎকালীন ঢাকা-১৩) ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পরপর চারটি নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওয়ান-ইলেভেনের আগে ২০০৬ সালে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ২০০৬ সালের ২২ জানুয়ারির স্থগিত হওয়া জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনয়নও পেয়েছেন। ২০০৮ সালে সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিতে ফিরে আসেন এবং মনোনয়ন পান। কিন্তু পরাজিত হন।

তখন থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে আসে। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে ২০১৪ সালে প্রার্থী বদল করতে হয়। ২০১৮ সালে আবারও প্রার্থী বদল করতে হয় আওয়ামী লীগকে। মূলত: দলীয় কোন্দলের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাংগঠনিক তৎপরতায় ভাটার টান দেখা যাচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেকের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।

বিএনপিও দলীয় কোন্দলমুক্ত নয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন ও কাজী সুলতানা আহমেদ এই দুই গ্রুপে বিভক্ত।

প্রসঙ্গত, কাজী সুলতানা আহমেদ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। মহিলা দলের রাজনীতি দিয়ে ১৯৯৬ সালের পর তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হয়েছেন। সাংগঠনিক অবস্থা শক্ত হলেও দ্বিমুখী কোন্দলে জর্জরিত বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা রয়েছে।

কোন্দলের জটিল সমীকরণে এই আসনটিতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল নির্ভার হতে পারছে না।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১৯৩তম (ঢাকা-২০) আসনে যে দল কোন্দল নিরসন করে যোগ্যপ্রার্থী নিয়োগ দিবে, সেই দলই বিজয়ী হবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। অন্যদের জানার সুযোগ দিন। প্রতিদিন ধারাহিকভাবে প্রচারিত আসনভিত্তিক গবেষণামূলক প্রতিবেদনগুলো দেখুন এবং নিজের রাজনৈতিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। লাইক, কমেন্ট, ও সাবস্ক্রাইব করে ‘বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর’ এর সঙ্গে থাকুন।

আরও পড়ুন: ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ

বিএনএনিউজ/ শাম্মী, বিএম, ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ