বিএনএ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের তথাকথিত শান্তি সমাবেশে বারুদের গন্ধ আর রক্তের হোলি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে যখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে তখন আওয়ামী লীগ ইয়াহিয়া ও টিক্কা খানের মতো শান্তি কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা যখন কর্মসূচি ঘোষণা করছি ওরা আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। সেই কর্মসূচিতে আমাদের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের সাজিদ হাসান বাবুর ওপর রক্তাক্ত হামলা করেছে। আমানউল্লাহ আমানকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে। আসলে ওদের শান্তির সমাবেশে বাতাসে বারুদের গন্ধ আর রাস্তায় রাস্তায় রক্তের হোলি খেলা। এটাকে তারা শান্তি সমাবেশ বলেন! এদের শান্তি সমাবেশ ঠেকাতে এখন পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে এ কথা বলেন রিজভী। গত শনিবার (২৮ জুলাই) ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, সরকারি দপ্তর বা আদালতগুলোতে যাবেন, সেখানে দেখবেন জয় বাংলা লেখা আছে। কিন্তু আপনি যদি সাধারণ পাবলিকের কাছে যান, তারা বলে যে, শেখ হাসিনা কবে যাবে।
তিনি বলেন, আজ সমাবেশের আগে পুলিশ আমাদের বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। সেখানে একটি শর্ত ছিল দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির বক্তব্য দেওয়া যাবে না। এর মানে কি আপনারা বুঝতে পেরেছেন? যে ব্যক্তির কথার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাকে কথা বলার সুযোগ দেবে না সরকার। এভাবেই সরকার মানুষের কথা বলার কণ্ঠ রোধ করছে।
জনসমাবেশের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
সঞ্চালনা করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনাহেনা