বিএনএ ক্যাম্পাস ডেস্ক : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীগণ আগামী ১জুন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন আবদুল্লাহ আল রাজু (বাংলা বিভাগ, মাস্টার্স) ,সাকিব হোসেন হৃদয় (আইন বিভাগ, চতুর্থ বর্ষ) ,মোঃ আসাদুজ্জামান (রসায়ন বিভাগ, চতুর্থ বর্ষ) ,.মাহবুব সিকদার (ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চতুর্থ বর্ষ) ,সেলিম রেজা (রসায়ন বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ) ,শাহ আলম (হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ) , মাহাবুদ শেখ (ইংরেজি বিভাগ, তৃতীয় বর্ষ)
শিক্ষার্থীগণ স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাই একটি জাতির সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। গত প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকার ফলে তারা নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। করোনাকালে সারাদেশের মানুষের উল্লেখযোগ্য একটা অংশের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারছে না। এদিকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্যও আবেদন করতে পারছে না।এছাড়াও সারাদেশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় তাদের মধ্যে হতাশা, মাদকাসক্ত হওয়া, নানাবিধ অন্যায়ে জড়িয়ে পড়া ও আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সারাদেশে কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর বিপন্ন প্রায় জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করা ছাড়া কোনও গত্যন্তর নেই।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালে সরকারের পক্ষ থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও নানা সমস্যার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্ভব হলেও আমাদের দেশে তা নানা কারণেই সফলভা পায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে চরম দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে তা লাঘবের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করাসহ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তারা উপাচার্য বরাবর নিম্নোক্ত চার দফা দাবি জানান ।
১. স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. স্থগিত ও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো গ্রহণের জন্য দ্রুত রুটিন প্রকাশ করতে হবে।
৬. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডের মাধ্যমে দ্রুত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।
8. শিক্ষার্থীদের হল খুলে দিয়ে তাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
বিএনএ/মুহা. ফাহীসুল হক, ওজি