বিএনএ ডেস্ক: বাংলাদেশে এডিস মশা ছিল না।হয়তো ফ্লাইটে করে এই মশা দেশে এসেছে। এ কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।ৱ
রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভার শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানেতো এডিস মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটাতো বাহির থেকে আসছে। ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল অথবা দুটি মশা আসছে। দুটি মশা এখানে এসে কোনো না কোনো বাহিত (ডেঙ্গু) ছিল, সে আরও মশা প্রজনন করেছে।
এডিস মশা নির্মুলে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ায় অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম দাবি করে তাজুল ইসলাম বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলেইতো অবস্থাটা অন্য দেশের তুলনায় এ রকম (ভালো)। তাদের দেশেওতো ছিল না, এটা ইউরোপে ছিল। ফ্রান্সে দেখা গেছে যে একদিনে ৭/৮ হাজার লোক মারা গেছে৷ এ রকম তথ্য আছে আমাদের কাছে।
অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ হাজার ৩৯ জন, আর মারা গেছেন ৭৯ জন।
২০০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও এই জ্বর সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল ২০১৯ সালে, ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। সে বছর এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল, আর মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।
বিএনএ/এ আর