বিএনএ, ঢাকা: ঈদুল ফিতর সামনে রেখে গাবতলে ঘরমুখী মানুষের চাপ নেই। একদম সকালের দিকে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে মানুষের কোলাহল। কেবল কাউন্টারগুলোর সামনেই টিকিটের জন্য কিছু মানুষের জটলা দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাকালের আগের ঈদগুলোতে যে পরিমাণ যাত্রীদের চাপ থাকত, বর্তমানে সে পরিমাণ চাপ নেই। তাদের মতে অতিরিক্ত ছুটি ও স্কুল-কলেজ আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া যাত্রীদের চাপ কমেছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর আন্তঃজেলা গাবতলী বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা যায়।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাবতলীর কাউন্টার মাস্টার মো. কবির বলেন, যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। মানুষ আগেই বাড়ি চলে গেছে। আমার মনে হয়, এবারের ঈদে বেশি ছুটি থাকায় এমনটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার পরে যাত্রীদের চাপ একটু বাড়ে। তা না হলে আগামীকাল যাত্রীদের চাপ হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব স্থানে দূরপাল্লার যাত্রীর চাপ নেই। তবে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ধামরাই, গাজীপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও পাটুরিয়া ঘাটগামী কাছের দূরত্বের যাত্রী সংখ্যাই বেশি।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটগামী যাত্রী লালন বিশ্বাস বলেন, কাউন্টারে ভিড় কম থাকলেও লোকাল বাসগুলোতে চাপ বেশি। এ সুযোগে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ১৫০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।
পাটুরিয়ার যাত্রী বেলাল হোসেন বলেন, অন্য সময় ভাড়া ১৫০ টাকা, আজ নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। এই ভাড়া একেক গাড়িতে একেক রকম। বাসও সেভাবে মিলছে না।
বাড়তি ভাড়া নেওয়া অভিযোগের বিষয়ে এসবি লিংক পরিবহনের সুপারভাইজার সাজেদুল বলেন, আমাদেরও ঈদ আছে। আমাদের কেনাকাটা করতে হয়। পরিবহন মালিকরা সবসময় সেই খরচ দেন না। তাই যাত্রীরাই আমাদের ভরসা। ঈদ আসন্ন। গাজীপুরগামী যাত্রীদের চাপ আছে। তাদের কাছ থেকে বলে-কয়ে ২০/৫০ টাকা বেশি নিচ্ছি।
ঢাকা-মানিকগঞ্জ রুটে চলাচল করে নীলাচল পরিবহনের বাস। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সার্ভিস দিচ্ছে। বাসটির সহকারী রইস বলেন, আমরা অতিরিক্ত যাত্রী নিচ্ছি না। গাবতলী ছাড়া কোথাও দাঁড়াবেও না আমাদের বাস। গাবতলীতে সিটিং হবে গাড়ি। গাবতলী থেকে পাটুরিয়াঘাট পর্যন্ত ভাড়া ২০০ টাকা।
বিএনএ/এমএফ