25 C
আবহাওয়া
১২:১৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলা, শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে মামুনুলকে

কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলা, শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে মামুনুলকে

কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলা, মামুনুলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে

বিএনএ নারায়নগঞ্জ: বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হেফাজত ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন পুলিশ সুপার।

শুক্রবার(৩০ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন  পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।সে সময় তিনি আরও বলেন, সকালে সোনারগাঁ থানায়  একটা অভিযোগ পাওয়া যায়। দুই সন্তানের জননী জান্নাত আরা ঝর্ণা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯/১ ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলা হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে সে মামলা যেন সঠিকভাবে তদন্ত করা হয় সেই চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে ভিকটিমের মেডিকেল টেস্ট এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমও শুরু করা হয়েছে। বিশেষ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, এভিডেন্স কালেকশন শুরু করেছে পুলিশ।মামলাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনার চেষ্টা করা হবে। যেন ভিকটিম সঠিক সুবিচার পান।মামলার কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদসহ যা করণীয় তা করা হবে বলে জানান পুলিশ  সুপার।

ঝর্ণার নিখোঁজ থাকার প্রসঙ্গে পুরিশ সুপার বলেন, তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তাকে ঢাকায় আটকে রাখা হয়েছিল। তার পিতা পুলিশের সহায়তায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি তার পিতার সঙ্গেই আছেন।

এর আগে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় বাদী হয়ে  ধর্ষণের মামলাটি করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রিসোর্টকাণ্ডের পর পরিচিতদের বাসায় তাকে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়। সে সময় তাকে তার বাবা-মার সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। প্রথম স্বামী শহীদুলের সঙ্গে সংসার ভাঙার মাস্টারমাইন্ডও ছিল মামুনুল।

সোনারগাঁ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে না করা এবং আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় মামলাটি করা হয়।মামলার নম্বর ৩০।

এদিকে, মামালা দায়ের করার পর ঝর্ণাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

মামুনুলের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী

উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারীসহ নারায়ণগঞ্জের রয়েল রিসোর্টে ধরা পড়েন। তখন তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বার সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয় তার। যেখানে মামুনুল বলেন, জনরোষ থেকে বাঁচতেই জান্নাত আরা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। আসলে ওই ঝর্ণা হাফেজ শহীদুলের স্ত্রী।

১৮ এপ্রিল মামুনুল গ্রেফতার হলে জিজ্ঞাসাবাদে রিসোর্টকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। পরের দুই নারীর সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ক করেন মামুনুল।এরপর পুলিশ মামুনুলের বোনের মোহাম্মাদপুরের বাসা থেকে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দেয়।

হেফাজত নেতা মামুনুল হক বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছাড়াও তার ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ