বিএনএ,ঢাকা: আগামি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি। এর মাধ্যমে ক্লাসরুমে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত সিলেবাস শেষ করে একটি প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নেয়া হবে-জানিয়ে তিনি বলেন,এরপর পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।’
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দীপু মনি আরও বলেন,আগামি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ক্লাস হবে। এ সময়ে পিছিয়ে পড়া সিলেবাস শেষ করার ওপর জোর দেয়া হবে।সিলেবাস ছোট করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে কাজ চলছে।১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে।পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আসছে বছরের জুন মাসে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হতে পারে।মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনার কারণে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হওয়ায় বোর্ড থেকে সনদ দেয়া হলেও তাতে কোনো নম্বর উল্লেখ থাকবে না। শুধু উত্তীর্ণ লেখা থাকে।মাধ্যমিকে রোল নম্বরের পরিবর্তে আইডি প্রথা চালু করা হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার ভিত্তিতে আগে যে রোল নম্বর থাকত, তা আর থাকছে না। আইডির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম চলবে।
দীপু মনি বলেন, এবার করোনা ভাইরাসের কারণে আসন্ন পয়লা জানুয়ারি উৎসব করে পাঠ্যবই দেয়া হবে না। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট ১২ দিনে এসব বই দেয়া হবে।প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিন দিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে বই নিয়ে যাবে। তার আগে ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসবের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালেল এইচএসসির ফলাফল নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে আপিল করা যাবে।এইচএসসির ফল ঘোষণার জন্য বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। ফলাফল প্রস্তুতের জন্য ইতোমধ্যে ৮ সদস্যের পরামর্শক কমিটি টিমে কাজ করছে বলে জানান দীপু মনি।
উল্লেখ্য,গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর পর বেশ কয়েক দফায় ছুটি বাড়ানো হয় । সর্বশেষ আগামি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। প্রতিবছর ১ জানুয়ারির বই উৎসব সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির এবছর সারা দেশে বই উৎসব হচ্ছে না।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এসএসসি পরীক্ষা যেহেতু বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই এ ফল থেকে ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ফল থেকে ২৫ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসির ফল প্রকাশ করার কথা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি