24 C
আবহাওয়া
১:০৮ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নিজামুদ্দিন মারকাযের চাবি মাওলানা সাদকে ফিরিয়ে দিতে আদালতের নির্দেশ

নিজামুদ্দিন মারকাযের চাবি মাওলানা সাদকে ফিরিয়ে দিতে আদালতের নির্দেশ


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : মারকায থেকে করোনা রোগ ছড়িয়েছে এই কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় নিজামুদ্দিন মারকায ও মসজিদ। দেশব্যাপী করোনার বিধিনিষেধ উঠে গেলেও, নিজামউদ্দিন মারকাযের ওপর সেই বিধিনিষেধ বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সেই আবেদন নাকচ করে নিজামুদ্দিন মারকাযের চাবি মাওলানা সাদকে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। মামলার পর্যবেক্ষণে সোমবার এই রায় দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত বানানো হয়েছিল মাওলানা সাদকে ।তাঁর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের মার্চ মাসে দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। অভিযোগ ছিল যে, তিনি করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে জমায়েত করেছিলেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে মূলত রমযানে নিজামুদ্দিন মারকাযে ৫০ জনকে নামায পড়ার অনুমোদন দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০২০ সালের মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযে তবলিগ জামাতের সমাবেশ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশে৷ ওখান থেকেই দেশে করোনা ছড়িয়েছে, এমন দাবিও করেছিল একশ্রেণির মানুষ৷

দিল্লি পুলিশের কাউন্সিল রজত নাইয়ার এদিন আদালতকে জানান মাওলানা সাদ এখনও পলাতক। তবে মারকাযের ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী বলেছেন, এই তথ্য যথাযথ নয়। সাদ নিজামুদ্দিনেই আছেন এবং পলাতক নন এবং প্রয়োজনে তিনি পুলিশের কাছে হাজির হবেন।

নির্ধারিত বন্ড মিটিয়ে দিলেই মাওলানা সাদকে চাবি হস্তান্তরে তাদের কোনও অসুবিধা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী এদিন এই মামলাটিকে অহেতুক আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ।

উল্লেখ্য, করোনা রোগ ছড়ানোর অভিযোগে ২০২০ সালে মারকাযকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি বছরে মসজিদটিকে শর্তসাপেক্ষ খোলা হয়। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে পুনরায় চালু করার জন্য দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড দিল্লি কোর্টে একটা মামলা দায়ের করেছিল। ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট সঞ্জয় ঘোষ এদিন আদালতকে জানিয়েছেন, মারকায ভবনের কিছু অংশ খোলা হলেও বেশ কিছু অংশ এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে এবং তার চাবি দিল্লি পুলিশের কাছে আছে। তবে বিপক্ষ আইনজীবীদের সওয়াল জবাবে নাইয়ার জানিয়েছেন, তারা চাবিগুলি মোতাওয়াল্লী কাছ থেকে নিয়েছিলেন এবং তাদের কাছেই হস্তান্তর করবেন। এদিন কোর্টের সওয়ালে নাইয়ার আরও জানান যে মাওলানা সাদ’ই তাদের চাবি দিয়েছিলেন।

মামলার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি সিং পুলিশকে প্রশ্ন করেন যে , মহামারী রোগ আইন, ১৮৯৭ এর অধীনে নথিভুক্ত একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই জাতীয় সম্পত্তির হেফাজতে থাকতে পারে কিনা। এরপর তিনি পুলিশের জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ