22 C
আবহাওয়া
১১:১৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন- ২৬৫(ফেনী-১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন- ২৬৫(ফেনী-১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম।  আজ  থাকছে ফেনী-১ আসনের হালচাল।

YouTube player

ফেনী-১ আসন

ফেনী-১ সংসদীয় আসনটি পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ২৬৫ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭ হাজার ৪ শত  ৬৯ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৪ হাজার ১ শত ৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের  জাকারিয়া  ভুঁইয়া।  নৌকা প্রতীকে  তিনি পান ২৩ হাজার ২ শত ৫০ ভোট।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:  বেগম খালেদা জিয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি,ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।  ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন:  বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১ শত ৫২ জন। নির্বাচনে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ  প্রতীকে তিনি পান ৬৫ হাজার ৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের ওয়াজি উল্লাহ  ভুঁইয়া। নৌকা  প্রতীকে  তিনি পান ২৪ হাজার ১ শত ৩৮ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন:  বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৬ হাজার ৭ শত ২৭ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৮ শত ৪৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে  তিনি পান ১ লাখ ৩ হাজার ১ শত ৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের জাফর ইমাম।  নৌকা প্রতীকে   তিনি পান ৩৬ হাজার ৭ শত ৬৩ ভোট।

২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে দাড়ান। সবগুলি আসনে জয়ী হবার পর, তিনি বগুড়া-৬ আসনকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নেন। এর ফলে বাকী আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০১ সালের নভেম্বরে উপ-নির্বাচনে তার ছোটভাই সাঈদ ইস্কান্দার নির্বাচিত হন।

নবম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২২ হাজার ৪ শত ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯ শত ৮১ জন। নির্বাচনে বিএনপির বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে  তিনি পান ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ শত ৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের  ফয়েজ আহমেদ। নৌকা  প্রতীকে   তিনি পান ৫৮ হাজার ৫ শত ৫১ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: জাসদের শিরিন আখতার  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাসদের শিরিন আখতার  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন । তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে র্নিবাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয়  জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ  করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: জাসদের শিরিন আখতার  বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৫ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৫ শত ৬১ জন। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৯ জন। নৌকা  প্রতীকে জাসদের শিরিন আখতার, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মুন্সি রফিকুল আলম, হারিকেন প্রতীকে মুসলিম লীগের তারিকুল ইসলাম, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কাজী গোলাম কিবরিয়া, বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের আনোয়ার উল্ল্যাহ ভুঁঞা, উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গণফোরামের এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, টেলিভিশন প্রতীকে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ শাহরিয়ার ইকবাল, আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র্র প্রার্থী শেখ আবদুল্লাহ এবং মোমবাতি প্রতীকে ইসলামী ফ্রন্টের কাজী মো: নুরুল আলম  প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে জাসদের শিরিন আখতার  বিজয়ী হন। নৌকা  প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৪ হাজার ২ শত ৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মুন্সি রফিকুল আলম। ধানের শীষ  প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২৫ হাজার ৪ শত ৯৪ ভোট।

কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদে বিএনপি এবং  দশম ও একাদশ সংসদে জাসদের প্রার্থী বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর  ফেনী-১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেনী-১ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৫.৩৬% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪.৭১%, বিএনপি ৩৮.৬৫%, জাতীয় পাটি ২৪.০২%, জামায়াত ইসলামী ৮.৬৭% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৯৫% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৪.৫০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২০.৬০%, বিএনপি ৫৫.৫৬% জাতীয় পাটি ১৩.৫৭%, জামায়াত ইসলামী ৭.২৪% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.০৩% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৯.১০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫.৭৪%, ৪ দলীয় জোট ৭২.২১%, জাতীয় পাটি ০.৪৮% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৫৭% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭৯.১০% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৩৩.২৭%, ৪ দলীয় জোট ৬৫.০৫% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৬৮% ভোট পায়।

ফেনী-১  (ছাগলনাইয়া- ফুলগাজী-পরশুরাম)  আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মহজোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।  ২০১৪ সালের দশম ও  ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মহাজোটের শরিক হিসাবে আবারও মনোনয়ন চাইবেন।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই আসনে দলীয় প্রার্থী চায়। আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব এবং প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফেনী জেলা  আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ক্লিন ইমেজ ও তারুণ্যের প্রতীক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মজুমদার, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ। মুলত এই তিন জনের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন প্রতিযোগীতা সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে তৃণমূল পর্যায়ে মাঠে দেখা যাচ্ছে মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মিজানুর রহমান তার পিতা সুলতান আহমেদ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে গত ১৫ বছর ধরে এলাকার গৃহহীনদের ঘর প্রদান, গরীব মানুষকে বিনামূল্য চিকিৎসা, গরীব মেধাবিদের শিক্ষা খরচ,  দুস্থদের  নানা মানবিক সহায়তা,মসজিদ মাদ্রাসা সংস্কার ও নির্মানে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

এছাড়া ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে বের করে তাদের বীরের মর্যদা দেয়ার পাশাপাশি একই ছাদের নিচে নিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে তৃণমুল পর্যায়ে সংগঠিত করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকায় নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন।

বিএনপি এখনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। বেগম জিয়া দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তাছাড়া তিনি জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। দল নির্বাচনে অংশ নিলে সেই ক্ষেত্রে  একাদশ জাতীয় সংসদের প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু  অথবা পরশুরামের সাবেক মেয়র বিএনপির নেতা আবু তালেবকে দেখা যেতে পারে। ২০ দলীয় জোটের  অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরার সদস্য এডভোকেট এএসএম কামাল উদ্দিন জোটের মনোনয়ন চাইবেন।

এছাড়া জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ, সহ-সভাপতি, শাহারিয়ার ইকবাল রিয়াদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মাওলানা এনামুল হক, খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ ভূঁঞা ও কল্যান পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব কাজী সিরাজী দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

নির্বাচনী ভাবনায় বর্তমান সংসদ সদস্য শিরিন আখতার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ আসনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নারী ক্ষমতায়নে এখানে ব্যাপক সফলতা রয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  নির্বাচিত হলে  অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও নারী শিক্ষাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।  জনগণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে মহাজোটের প্রার্থীকেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিরিন আখতার।

নির্বাচনী ভাবনায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনের পর এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়নি। তাকে মনোনয়ন দিলে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতিকে উপহার দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, শিরীন আখতার কেবল তাঁর দলীয় নেতা-কর্মীদের উন্নয়নে কাজ করেন। রাষ্ট্রীয় কোনো কর্মসূচিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগকে তিনি সম্পৃক্ত করেন না।

তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসনটি মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন হিসেবেই পরিচিত। ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ থেকে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্য ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে  তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। উপ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। মহাজোট প্রার্থী হিসাবে খুব সহজে বিজয়ী হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বেগম খালেদা জিয়া। এই অবস্থায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। জাসদের শিরিন আখতার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে।  বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে এই আসনে প্রার্থী দিবে  আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে শিরিন আখতার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৬৫ তম সংসদীয় আসন (ফেনী-১) আসনটিতে প্রার্থী মনোনয়ন ও  জয়-পরাজয় নির্ভর করছে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার ওপর।

বিএনএ নিউজ/ শাম্মী, রেহেনা, ওজি, ওয়াইএইচ/এইচ এ মুন্নী

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ