30 C
আবহাওয়া
৮:২০ পূর্বাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রামু ট্রাজেডির ৯ বছর: সাক্ষীর অভাবে মামলা গতিহীন

রামু ট্রাজেডির ৯ বছর: সাক্ষীর অভাবে মামলা গতিহীন

রামু

বিএনএ কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির নয় বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজবের জেরে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি মামলা হয়। তবে, এখনো সাক্ষীর অভাবে গতিহীন হয়ে পড়েছে ১৮টি মামলার বিচার কাজ। তবে ১টি মামলা প্রত্যাহার করেন বাদী নিজেই।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ঘটনা। রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে আরও ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় করা ১৯টি মামলার ১৮টির বাদী পুলিশ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি মামলা করলেও; বিবাদীদের সঙ্গে আপস  করে মামলা প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

এজাহারভুক্ত ৩৭৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৪/১৫শ জনকে অভিযুক্ত করে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮টি মামলায় ১ হাজার ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল ১৯টি। এরমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে ১৮টি মামলা করেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করলেও পরবর্তীতে বিবাদীদের সঙ্গে আপোষনামায় নিষ্পত্তি হয়। বিচারাধীন ১৮টি মামলায় আদালতে স্বাক্ষী না আসায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। তবে সাক্ষীদের উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে সব মামলা নিস্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের বিচার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।

এ ঘটনার পর পরই সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিহার ও ঘরবাড়ি নতুন কারুকাজে পুননিমার্ণ করে দেয় সরকার। সরকারি পৃষ্টপোষকতায় নান্দনিকভাবে নির্মিত এসব বৌদ্ধ বিহার ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রামুতে ফিরেছে সম্প্রীতি, মুছে গেছে ক্ষত, কিন্তু সাক্ষীর অভাবে শেষ হয়নি মামলার বিচার কার্যক্রম। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে আছে চাপা ক্ষোভও। ঘটনার হোতাদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল গঠন করা হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিলেও ৯ বছরেও মূল মামলার চূড়ান্ত শুনানির কোনো অগ্রগতি হয়নি।

স্থানীয়দের দাবি, বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনায় ছবি ও ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হওয়া জড়িত অনেকেই মামলা থেকে বাদ পড়েছেন। আবার রহস্যজনক কারণে আসামি হয়েছেন নিরীহ অনেকে। ফলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন। সেই দিনের স্থির চিত্র ধরে যদি আদালত বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে তাহলে বাদপড়া প্রকৃত অপরাধীসহ মামলার আসামিরা শাস্তির আওতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ