22 C
আবহাওয়া
২:৪১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

এসএসসিতে কুমিল্লা বোর্ডে তিন বিষয়ে ফেল বেশি

এসএসসির ফল প্রকাশ শুক্রবার

প্রতিনিধি, কুমিল্লা: চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে গত কয়েক বছরের তুলনায় গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে।

এবার বোর্ডটিতে অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ৪১৯ পরীক্ষার্থী। বেশি অকৃতকার্য হয়েছে গণিত, ইংরেজি ও ভূগোলে।

ওই তিন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ৩৯ হাজার ১০ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে গণিতে ১৮ হাজার ৮১২, ইংরেজিতে ১১ হাজার ৬৫৯ ও ভূগোলে ৮ হাজার ৬৩২ পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। অন্যান্য বিষয়ে অকৃতকার্য হয় ৩১৬ পরীক্ষার্থী।

কুমিল্লা বোর্ডে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম।

এ বোর্ডে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৫ পরীক্ষার্থী, যাদের মধ্যে পাস করে ১ লাখ ৪৩ হাজার ২১৬ ও জিপিএ-৫ পায় ১১ হাজার ৬২৩ জন।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের গত চার বছরের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০২২ সালে গড় পাস ছিল ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ১৯ হাজার ৯৯৮।

২০২১ সালে গড় পাস ৯৬ দশমিক ২৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ ছিল ১৪ হাজার ৬২৬। এর আগে ২০২০ সালে গড় পাস ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ ও জিপিএ-৫ ছিল ১০ হাজার ২৪৫। ২০১৯ সালে গড় পাস ছিল ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ ও জিপিএ-৫ ছিল ৮ হাজার ৭৬৪টি।

গণিত, ইংরেজি ও ভূগোলে এত শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু ছালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ বলেন, ‘গণিত চর্চার বিষয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাসমুখী না হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সংযোগ না ঘটলে অকৃতকার্য হওয়া স্বাভাবিক।

‘ভার্চুয়াল ক্লাসের জন্য শিক্ষার্থীরা যে মোবাইল ব্যবহার করে, তা যদি লেখাপড়ার বাইরে বেশি ব্যবহার হয়, তাতে ফলাফল বিপর্যয় ঘটবে। আর সেটাই হয়েছে।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও গণিতবিদ ড. আবু জাফর খান বলেন, ‘গণিতের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কারণ আমাদের শিক্ষার্থীদের গণিতের প্রতি ভীতি আছে।

‘শিক্ষকরা যখন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পাবেন, তখন তারা তাদের শিক্ষার্থীদের মন থেকে গণিতভীতি দূর করতে পারবেন।’

নবাব ফয়জুন্নেছা স্কুলের ইংরেজি বিষয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘এ বছর আমি ২০০ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছি, যার মধ্যে ৫০ জন ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তার অনেকগুলো কারণ আছে।

‘গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়, তখন তাকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেয়া হয়, যার প্রভাব পড়ে এসএসসির ফলে। এ ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইংরেজি বিষয়ে ভালো শিক্ষক নেই।’

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গড় ফল কমলেও শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা নিয়মিত লেখাপড়া করেছে, তাদের ফল ভালো হয়েছে।’

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনাহেনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ