বিএনএ ডেস্ক: বগুড়ায় নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বরাদ্দ করা নমুনা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারের প্রতীকের অমিল থাকার অভিযোগ তুলেছেন এক প্রার্থী। ইফতারুল ইসলাম মামুন নামের ওই প্রার্থী আইসক্রিম প্রতীকে বগুড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মামুন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের দিন নমুনা হিসেবে কাঠিওয়ালা আইসক্রিমের ছবি দেওয়া হয়৷ সেই প্রতীক নিয়েই আমি প্রচারণা চালাই। আজ ভোট শুরু হওয়ার পর দেখলাম ব্যালটে বরাদ্দ প্রতীকের সঙ্গে মিল নেই। সেখানে ফুলের মতো দেখতে কুলফি আইসক্রিমের ছবি দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তারা যে প্রতীক দেখে ভোট কেন্দ্রে গেছেন, ব্যালটে সেই প্রতীকের ছবি খুঁজে পাচ্ছেন না। যাদের লেখাপড়া নেই তারা তো নাম পড়তে পারেন না প্রতীক দেখে ভোট দেন। কিন্তু ব্যালটে তারা আমার প্রতীক চিনতে পারছেন না। আমি নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করতে গিয়েও কাউকে পাচ্ছি না।’
মামুন বলেন, ‘আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন করেছিলাম। তিনি এখন আমাকে ফেসবুকে আমার ব্যালটের প্রতীক সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালাতে বলছেন। এই মুহূর্তে সেই প্রচারণা কিভাবে সম্ভব আমি বুঝতে পারছি না।’
বগুড়ার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ এ বিষয়ে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যা অধিক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন থেকে অতিরিক্ত তিনটি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে শুধু আইসক্রিম প্রতীকের নাম ছিল। কিন্তু নমুনা ছবি ছিল না। একারণে সচারাচর যে আইসক্রিম হয় সেই ছবি দিয়ে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যালটে ছাপা হয়েছে কুলফি আইসক্রিমের ছবি। যেহেতু দু’টিই আইসক্রিম তাই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রার্থী নির্বাচন অফিসে এসেছেন। তার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।’
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/ হাসনা