বিএনএ, যবিপ্রবি : সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহল বরাবরই। তাদের প্রশিক্ষণ, যুদ্ধের সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে জানতে চায় সাধারণ মানুষ। গতকয়েক বছর পর আবারো সমরাস্ত্র প্রদর্শনী কৌতূহল মেটানোর সে সুযোগ করে দিয়েছেন ৫৫ আর্টিলারি ব্রিগেড, যশোর। যশোর প্রয়াসের পাশেই চলছে এ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী-২০২৪।
বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধযান, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে এসে এভাবেই নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন যবিপ্রবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে তারা বলেন, সামরিক বাহিনীতে যোগদানের অনুপ্রেরণা পেলাম। দেশের জন্য কিছু করতে ইচ্ছে করছে।
শুধু নৌ বাহিনীই নয় সেনা এবং বিমান বাহিনীও তাদের সব ধরনের সরঞ্জাম সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করেছে। বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান থেকে শুরু করে দুর্লভ ফাইটার বিমান, সেনাবাহিনীর যুদ্ধকালীন সর্বাধুনিক ট্যাঙ্ক, মিসাইলসহ যাবতীয় সরঞ্জাম।
সেনাবাহিনীর স্টলে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন, যুদ্ধ সক্ষমতার যাবতীয় সরঞ্জাম, অস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কার, সাঁজোয়া যান, গোলন্দাজ, যুদ্ধে ব্যবহৃত পদাতিক বাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, ইঞ্জিনিয়ারস সিগন্যালস, আর্মি মেডিক্যাল কোরের কার্যক্রম, অর্ডন্যান্স, ইএমই কোরের বিভিন্ন সরঞ্জাম, প্যারা কমান্ডো বাহিনীর সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া প্যারা ড্রপিং, র্যাপলিং, সোয়াডস মহড়া, আনআমর্ড কম্ব্যাট, সম্মিলিত ব্যান্ড ও অর্কেস্ট্রা প্রদর্শন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা করা হয়। বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফাক্টরিতে উত্পাদিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্মকর্তা মাসুদ রানা তার কাছে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থীদের যোদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্যই এ প্রদর্শনী করা হয়েছে। আধুনিক প্রজন্মের মাঝে ধারণা দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
বিএনএ/আরাফাত/এইচ.এম।