বিএনএ, গাজীপুর : পুলিশি কাজে বাঁধা দেওয়া, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং পুলিশের উপর হামলা করার অভিযোগে মামলা হওয়ায় এবং গ্রেফতার বাণিজ্য থেকে বাঁচতে ফেরারি আসামির মতো ঘর ছাড়া গাজীপুর জেলা বিএনপির শত- শত নেতাকর্মী সমর্থকরা।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছ, শুক্রবার (২৬) মার্চ ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং গুলি চালানোর কারণে, বিপুলসংখ্যক তৌহিদি জনতা আহত এবং নিতহ হওয়ার ঘটনায়।
শনিবার (২৭) মার্চ দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিল গাজীপুর মহানগর যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। পরে ওই স্থানে সমাবেশের অনুমতি নেয়া না নেয়া নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পযার্য়ে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মী- সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা হয় এবং তাতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়।
সদর থানার তথ্যমতে, শনিবার (২৭) মার্চ রাতে দুপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর সদর থানায় পুলিশের পক্ষথেকে বাদীহয়ে মামলা করেন, এসআই মো.আল আমিন। মামলার এজাহারে, ৪১জন বিএনপি নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১২০ জনকে আসামি করা হয়।
জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মুনির জানান, পুলিশের করা মিথ্যা মামলায়, বিএনপির নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা সবাই গ্রেফতার আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
গাজীপুর সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারা পাশে ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়কে নেমে যানবাহন চলাচলে ‘বাধা সৃষ্টি করে’, পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, গুলি এবং কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনএনিউজ/রুকন, জেবি